না এটা মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর পুতুল নাচের ইতিকথা নয়। এটা এ যুগের পুতুল নাচের ইতিকথা। বহুযুগ পার করে এসেও আজও আমরা নাচের পুতুল ছাড়া কিছুই নই। কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহলের হাতে আমরা জিম্মি। এখানে আমরা বলতে আমি বা আপনি নই।
বলছি সেইসব সাধারণ মানুষের কথা যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে বাঁচিয়ে রেখেছে আমাদের দেশকে। যাদের হাতে গড়া শিল্প নিয়ে আমরা বিশ্ব বাজারে সমৃদ্ধ। অথচ কি নির্মম পরিনতি হয় তাদের। শুধু জিবিকার ত্তাগিদেই হয়তো জীবনের ঝুঁকি নিয়েও কাজে নেমেছিলেন তাঁরা। হায়েনারূপী মালিক শ্রেণী নিজেদের লাভের আশায় তাদের ঠেলে দিয়েছে মৃত্যু কুপের অতল গহ্বরে।
যখন দেখি সারি সারি লাশ আর স্বজন হারাদের আহাজারি তখন নিজেদের মানুষ বলতে খুব লজ্জা হয়।
স্বাধীনতার এতো বছর পরেও আমরা কি দিতে পেরেছি এইসব মানুষদের স্বাধীনতা?? এতগুলো মানুষ মারা গেলো, হাজার হাজার মানুষ আহত হল তাতে কি আমাদের দেশের তথাকথিত ধনী সম্প্রদায়ের কিছু হয়েছে। হ্যা, হয়েছে। তাঁরা তাদের সামাজিক আলোচনায় একটা বিষয় পেয়েছে, সাহায্যের নামে নিজেদের সোশ্যাল স্ট্যাটাস বাড়াচ্ছে। কিছুদিন পর সবাই ভুলে যাবে সেদিন কিছু হয়েছিলো।
শুধু যাদের গেছে তারাই তিলে তিলে অনুভব করবে যাতনা।
মানুষ আসলে পুতুল ছাড়া কিছুই নয়। কিছুই করার নেই তাদের। অতীতেও পুতুল ছিল, আজও তাঁরা পুতুল হয়েই বেঁচে আছে। কখনো নিয়তির হাতের পুতুল কখনোবা সমাজের উঁচু শ্রেণীর পশুদের হাতের পুতুল।
ধিক্কার জানাই এইসব মানুষরূপী পশুদের।
সবশেষে মহান আল্লাহর কাছে একটাই প্রার্থনা করি, যে যারা মৃত্যুর পথে এগিয়ে গেছে তারা যেন জান্নাতবাসী হয়, যারা জীবিত আছেন তাঁরা যেন দ্রুত সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন ফিরে পায়। আর জেসব মানুষ নিজের জীবন বাজি রেখে, মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে গেছে সাহায্য করতে, প্রাণ বাঁচাতে তাদের জন্য হাজার সালাম আর শুভকামনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।