ভারতবর্ষের প্রথম মুঘল সম্রাট জহির উদ্দিন মুহম্মদ বাবর প্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদটি ইতিহাস থেকে মুছে গেল উগ্রহিন্দুবাদের আগ্রাসনে। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় থাকা কালে উগ্রহিন্দুরা উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা শহরে অবস্থিত ষোড়শ শতকের অনুপম স্থাপত্য নির্দশন এই মসজিদটি ধ্বংস করেন। হিন্দুশাস্ত্রীয় রামের জন্মস্থান ও মন্দিরের স্থলে সম্রাট বাবর মসজিদ নির্মান করেন এমন অভিযোগ এনে কংগ্রেস সরকারের পৃষ্টপোষকতায় নরকীয় নিন্দিত ধ্বংসযজ্ঞ সংঘটিত হয়। মুসলিম জাতির জন্য এটা একটা বেদনা ধায়ক দিন। বছর ঘুরে এই দিনটি আসে।
আবার চলে যায়। বাবরী মসজিদ ধংসের ১৬তম কালো দিবস গত ৬ ডিসেম্বর চলে গেল। এই দিবসটি ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশধারী কট্টর হিন্দুবাদী ভারতের চেহারা বিশ্ববাসীর কাছে ফুটে উঠে। বাবরী মসজিদ রক্ষায় হাইকোটের আশ্রয় নিয়েও শেষ রক্ষা হল না। তারপর ক্ষান্ত হয়নি ধর্মের পথে শহীদ যারা সেই সেই মুসলমান জাতি হাসি মুখে মসজিদ রক্ষা করতে প্রান দিল তারা।
মুম্বাই, আহমেদাবাদ, বেনারসসহ জয়পুরে দুই সহস্রাধিক মুসলমান শাহদাত বরন করেন। ১৯ শতকের গোড়াতেই নেতৃস্থানীয় হিন্দুরা বাবরী মসজিদ স্থলে রামমন্দির ছিল বলে প্রচার করতে থাকে। অব্যহত অপপ্রচারের ফলে ১৯৪০ সালে পর সাধারন মনে একটি ধারনা জন্ম নিতে থাকে যে বাবরী মসজিদের স্থলে রামমন্দির ছিল। বিভিন্ন সময় গোড়া কট্টর মৌলবাদী হিন্দুরা বাবরী মসজিটি ভাঙ্গতে উদ্যত হলে নানা কারনে এটি সম্ভব হয়নি। ১৯৯২ সালে এই মাসের ৬ তারিখে হিন্দুবাদী সংগঠন কংগ্রেস সরকারের মদদে উগ্রহিন্দুরা এলাহাবাদ হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে এই অর্মাজনীয় অন্যায় কাজে লিপ্ত হয়।
এই ঘটনায় সরকারকে আসামী করে মামলা পর্যন্ত হয়। মামলার রায় সরকার নিজের পক্ষেই নেয়। প্রত্নতাত্বিকরা বাবরী মসজিদের স্থলে রাম মন্দির থাকা দাবীটিকে হাস্যকর, ভিত্তিহীন ও মনগড়া বলে অভিহিত করেন। ক্ষুদ্রজাতি গোষ্ঠীর ধর্মীয় নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদের ধারক বহুজাতির রাষ্ট্র ভারত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।