উচিত কথা কমু, তাতে মসজিদ আর মাদরাসা কি ১। ট্রাইবুনাল যদি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হতো তবে ১০০% নিশ্চিত কাদের মোল্লার ফাঁসি হতো।
কী বুঝা গেলোঃ এ ট্রাইবুনাল স্বাধীন না। সরকারের হস্তক্ষেপ রয়েছে।
মানে জামায়াত আর বিএনপির কথাই ঠিক।
সরকার কেন হস্তক্ষেপ করলোঃ
ক। মৌলবাদি শক্তিকে ভয় পেয়েছে।
খ। জামাতের সাথে গোপন মীমাংসা হয়েছে।
গ।
যেভাবেই হোক বিএনপিকে ক্ষমতা আসতে দেয়া হবেনা।
২। এই রায়ে বিচারকরাও খুশী না, যারা রায় দিয়েছেন।
কারণঃ নিরপেক্ষ রায় হলে তারা ফাঁসীর আদেশ দিতে পারতেন। এখন নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে রায় দিতে হলো।
৩। যার বিরুদ্ধে রায় দেয়া হলো- সে পক্ষও খুশী না।
কারণঃ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হরতাল ডাকলো। তারা চেয়েছিলো - কাদের মোল্লা ৭১ যা করেছিলো তা সঠিক ছিলো। তাই জামাতি চেলা শাহজাহান রক্তের বন্যা বইয়ে দেয়ার ঘোষণা দিলেন।
৪। সরকারি দল ও খুশীনাঃ
কারণঃ জনতার মতিগতি বুঝতে পেরে কামরুল সাহেব বলেছেন- জনগণের এরকম ভাব বুঝা গেলে রায় অন্যরকম হতো।
এর আবার মানে আছে। যথাঃ রায় জনগণের মতিগতির ওপর নির্ভর করে।
বাকি সব লোক দেখানো।
এখানে অপরাধি যে অপরাধ করেছে তা প্রমাণ করার দরকার নাই।
৫। সাধারণ জনগণও খুশী নাঃ
কারণ- ৩০ লক্ষ মানুষের রক্তের সাথে বেঈমানি করা হলো। শহীদদের আত্মার সাথে গাদ্দারি করা হলো।
৬।
এমন একটা রায় হলো যেখানে কোনো পক্ষই খুশি না আর সে রায় আবার নিরপেক্ষও না।
সামনে কী হবে-
১। সরকার আপীল করবে---- এটা বোগাস। আপীলে শাস্তি শুধু কমানো যায় , বাড়ানো যায়না।
২।
শাহবাগ স্কয়ার সরকারীদল হাইজ্যাক করবে।
৩। রক্ত টগবগ করা তরুনদের উচ্ছ্বাস অল্প কদিনের মধ্যেই নিভে যাবে।
৪। সেই সূর্যসেনও নেই, সেই তিতুমীরও নেই।
দালাল বুদ্ধিজীবীরা গোপনে আঁতাত করবে। সরকারের পা চুষবে।
৫। আওয়ামীলীগ ভোট ভিক্ষা করবে। আবার ক্ষমতায় পাঠান।
সবকটাকে ফাঁসীটে লটকাবো।
৬। পরিশেষে সাধারণ জনগণ পুংগা মারা খাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।