আজকের বিশ্বে যে কয়টা বিষয় নিয়ে সবচেয়ে বেশী আলোচনা হয় তাহলো সুশাসন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, দারিদ্র্যবিমোচন এবং নারী অধিকার। সত্যিকার অর্থে এগুলো পেতে হলে রাসূল(সাঃ)কে আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে দেখতে হবে। এ ছাড়া দুনিয়ার কোথাও সুশাসন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, দারিদ্র্য বিমোচন কিংবা নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
রাসূল (সাঃ)এর আদর্শ হচ্ছে অনুকরণীয় আদর্শ। এর অনুসরণ শুধু মসজিদ কিংবা আনুষ্ঠানিক ইবাদতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, মানুষের জীবন জিন্দেগীর সকল দিক ও বিভাগের জন্য অনুসরণীয়।
ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, সর্বক্ষেত্রে অনুসরণীয় ভারসাম্যপূর্ণ আদর্শ। আজকের বিশ্বে যে কয়টা বিষয় নিয়ে সবচেয়ে বেশী আলোচনা হয় তাহলো সুশাসন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, দারিদ্র্যবিমোচন এবং নারী অধিকার। সত্যিকার অর্থে সুশাসন দেখতে হলে কোন দিকে উঁকি মারা বাদ দিয়ে রাসূল(সাঃ)কে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। রাসূল(সাঃ)কে আদর্শ হিসেবে গ্রহন করা ছাড়া দুনিয়ার কোথাও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। জীবনের সকল কাজে স্বচ্ছতা আনার জন্য রাসূল(সাঃ)কে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।
সবার মাঝে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য ও রাসূলের অনুসরণ করতে হবে। রাষ্ট্রীয় কতৃêত্ব যাদের হাতে থাকবে তাদের ৪টি কাজ করতে হবে। নামাজ কায়েম করা, যাকাত আদায় করা, ভালো কাজের আদেশ দেয়া এবং খারাপ কাজ থেকে মানুষকে বিরত রাখা।
সুশাসন ও ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা স্বজনপ্রীতি। সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে ফয়সালা দিতে বাধা আসে কখনও পিছপা হওয়া যাবে না এটাই ইসলামের শিক্ষা।
ন্যায় বিচারে মানুষ ব্যর্থ হয় নিকটাত্মীয়ের কাছে দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে। সকল ধরনের বাধা, প্রতিহিংসা, পূর্বশত্রুতা উপেক্ষা করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এটাই তাকওয়ার নিকটবর্তী আমল। কুরআনের বাস্তব শিক্ষা রাসূল(সাঃ) তাঁর সাহাবাদের দিয়ে গেছেন। আর কুরআনের বাস্তবায়নের পদ্ধতিও তিনি শিক্ষা দিয়ে গেছেন। নারী পুরুষ একে অপরের সহায়ক বা পরিপূরক।
এখন নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে নারীকে পুরুষের বিপক্ষে দাঁড় করানো হচ্ছে। এটা কখনও সমাজে সুস্থতা আনতে পারে না। আল্লাহ গোটা বিশ্ব প্রকৃতিতে ভারসাম্য দিয়েছেন। কুরআনের বিধান লংঘন করে কখনও সমাজে ভারমাস্য রক্ষা করা যাবে না। নারী অধিকারের বিজ্ঞানসম্মত বিধান পৃথিবীতে আর কোথাও নেই।
স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি নিয়ে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে রাসূল(সাঃ) ও তাঁর সাহাবীগণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। বাংলাদেশে বছরে ৫ হাজার কোটি টাকা যাকাত আদায় হতে পারে। এ ব্যবস্থা চালু হলে ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা ছাড়া পুরোপুরি কুরআন মানা সম্ভব নয়।
এজন্য রাসূল (সাঃ) এর আদর্শ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করতে হবে। কুরআনকে মানতে হবে, কুরআন অনুযায়ী সমাজ গড়তে হবে। ১৪ কোটির মুসলমানের এই দেশে কুরআন বিরোধী কোন নীতি হতে পারে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।