আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেহেদীর "আমার পেনসিল" প্রসূত মস্তিস্কের খননকৃত কাব্যসমালোচনা

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

অত্র প‌্যারার পরে ইটালিক বস্তুটিকে কি নামে সম্বোধন করা সম্ভব সেটা অত্র রচনার পরিশেষে স্পষ্ট হলেও হতে পারে তবে "আমার পেন্সিল" নামক একটা মোঃ মেহেদী হাসান মেহেদী পরিবেশনা বহু কারণে উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠেছে। প্রথমতঃ অসংখ্য পাঠকপঠনের কারণে, যা ব্লগের একটা পোস্টের এ্যাভারেজ পাঠের সমান, নিউ ক্লাসিকালীয় নব্বই দশকের বাংলা কাব্যরত্নদের দুশ্চিন্তিত করে তুলেছে। ইহা কি লেখকের মায়ের নিকট ফোনবার্তার অংশ বিশেষ নাকি কিন্ডারগার্টেন বোর্ডিং স্কুলে বসবাসকারী কোন বালকের মা সমীপে পত্রবার্তা - এমনতরো আশংকায় ভূগতে শুরু করেছেন সুচতুর পাঠকবৃন্দ। আম্মু অমার পেনসিল যেন এনসিল ভাঙল আম্মু আবার দাও আবার দাও কিনে নতুন রঙিন পেনসিল দাও কিনে দাও আবার সাথে রঙিন কালাও আমার পেনসিল, মোঃ মেহেদী হাসান মেহেদী প্রকাশকালঃ ০৯ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:১০ তবে ইহা যাহাই হোক না কেন, এর প্রধান চরিত্র যে একটা পেনসিল সে বিষয়ে অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন কাহারও কোন দ্বিমত নেই। সে হিশেবে পেন্সিলরূপী একটা কেন্দ্রীয় চরিত্র তৈরী করে এটাকে নব যুগের স্ক্রিপ্টছাড়া কোন নাটকের বিকারগ্রস্থ প্রলাপের মত কল্পনা করা যেতে পারে।

পেনসিলের বায়োগ্রাফীতে সংযোজিত হতে পারে এর ভঙ্গুর লাইফটাইম ও পুনর্জাগরণের সুতীব্র আকাঙ্খা। উপরোক্ত শব্দজটের মধ্যে যে স্টোরিলাইনটি আমরা মোটামুটি পেয়ে যাই তা হচ্ছে জনৈক রঙিন পেন্সিল ব্যবহারকারী তার নিপভাঙা পেন্সিলের জন্য মর্মাহত - একমাত্র আশ্রয়স্থল মায়ের কাছে বায়না ধরেছে নতুন একটি পাবার আশায়। এবার তার ডিমান্ড একটু বেড়েছে, তিনি চান রঙিন পেন্সিল সাথে রঙিন কালিও। পাঠক প্রথমত অনুধাবন অন্যমনষ্কতায় গল্পটির প্রেক্ষাপট সমসাময়িক কল্পনা করে হোচট খেয়েছেন। তবে এই গল্পের পটভূমি সম্ভবত ১৩৫০ থেকে ১৪৩০ অবধি যখন বঙ্গে সর্বপ্রথম কালিতে চুবিয়ে খড়গের পেন্সিলের প্রচলন শুরু হয়েছিল।

উক্ত পেন্সিল মহাকাব্যে জননী সমীপে এক প্রার্থণার ঝলক বেশ নাটকীয়ভাবে প্রকাশিত হয়েছে। ইহা পৌনপুনিক পেন্সিল ভাঙা এক স্পর্শকাতর অবস্থানের মধ্যে লেখকের অবস্থানকে চিন্থিত করে। বঙ্গীয় লিখন-পঠন-প্রকাশ সমীকরণে আলোচ্য "আমার পেন্সিল" শীর্ষক শব্দকুন্ডলীকে কবিতা, গল্প, নাটক, ইতিহাস বা বিকার হিশেবে শ্রেণায়িত করার কোন অবকাশ আছে বলে মনে হয় না। ইহা এমন এক অনুধাবনবিহীণ অনুরনণ যাহা পরিমাপের অযোগ্য ও পেন্সিল প্রসূত মস্তিস্কে খননকৃত। লিখিত রূপে ইহা উত্তর আধুনিক তবে পঠনে কিঞ্চিত বানান বিভ্রাটদুষ্ট - যাহা একান্তই পাঠকের আরোপিত।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.