আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হলের জীবন

আমি এবং আমরা

বিআইটি রাজশাহীতে আমাদের আন্ডার-গ্র‍্যাজুয়েশন কোর্স শুরু হয়েছিল ২রা ফেব্রুয়ারী ১৯৯৯। মার ইচ্ছার দরুন (এবং সেই অনুসারে আমার মাথা ব্রেইন ওয়াশ করার কারনে) খুলনা ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্সে চান্স পাওয়া সত্বেও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হয়েছিলাম, আর বুয়েটে তো পরীক্ষাই দিতে পারিনি মার্কস না থাকার কারনে। মেকানিক্যাল এবং ইলেক্ট্রিক্যালের ছেলেপেলে দের আমরা দুই সপ্তাহ আগে শুরু করেছিলাম আমাদের সার্ভেয়িং ক্লাস করত হত বলে। বিআইটি তে সেসময় একটা মজার পলিসি ছিল। প্রতি ব্যাচের জন্য আলাদা আলাদা হল।

আমরা ছিলাম ৯৭ ব্যাচ। আমাদের কপালে জুটল টিনশেড হল। আমাদের সাথে সেশন জ্যামে পড়া ৯৬ ব্যাচও একই দিনে ক্লাস শুরু করেছিল (ভাবতে পারেন সেসময় সেশন জ্যামের অবস্থা? আমরা বসে ছিলাম একবছর জাস্ট কোর্স শুরু করার জন্য আর ৯৬ ব্যাচ আমাদের চাইতেও আরো এক বছর বেশী)। আমার একটা ট্রাংক একটা ব্যাগ আর তোশক নিয়ে হলে আসলাম। আমাদের সময় হলে সিট পাওয়ার জন্য কোন পলিটিকস করা লাগত না - সবার জন্য সিট অ্যাভাইলেবল ছিল।

যেদিন আমি প্রথম হলে আসলাম, আমার সাথে ছিল বাবা। যেরুমে প্রাথমিক ভাবে আমাদের থাকতে দেয়া হল, তার দুরবস্থা দেখে বাবা হলের কেরানীকে স্বভাভসুলভ ঝাড়ি দিয়ে বসল। আমি রুমে বসে বসে দেখছি একটা একটা করে ছেলে ঢুকছে আর একটা একটা করে রুম ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। কেউ কাউকে চিনি না। আমাদের এক এক রুমে চারজন করে থাকতে দেয়া হল।

রাত্রে প্রভোস্ট আমাকে ডেকে পাঠাল - সে কি ঝাড়ি আমাকে। আমি তো পুরা বোকচোদ হয়ে গেলাম। বাবা তখন কেরানীকে ঝাড়ি মারার ফল স্বরুপ এই ঝাড়ি খেলাম আমি । রাত্রে ৮ টাকা দিয়ে টোকেন নিয়ে হলের প্রথম খাবার খেলাম মাংস আর ডাল দিয়ে। ভালই ছিল অবশ্য পরের দিন সকাল থেকে শুরু হল সার্ভে (গজব, পুরা গজব) ক্লাস - সে কি খাটুনি।

সে গল্প নিয়ে আসব নেক্সট পোস্টে :d

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।