আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
মধুর আমার মায়ের হাসি
চাঁদের মুখে ঝরে
মাকে মনে পড়ে আমার
মাকে মনে পড়ে।
তার মায়ায় ভরা সজল দিঠি
সেকি কভু হারায়,
সে যে জড়িয়ে আছে ছড়িয়ে আছে
সন্ধ্যা রাতের তারায়,
সেই যে আমার মা
বিশ্বভূবন মাঝে তাহার নেইকো তুলনা।
তার ললাটের সিঁদুর নিয়ে
ভোরের রবি উঠে
আলতা পড়া পায়ের ছোঁয়ায়
রক্ত কমল ফোটে।
প্রদীপ হয়ে মোর শিয়রে
কে জেগে রয় দুঃখের ঘরে
সেই যে আমার মা
বিশ্বভূবন মাঝে তাহার নেইকো তুলনা।
মধুর আমার মায়ের হাসি
চাঁদের মুখে ঝরে
মাকে মনে পড়ে আমার
মাকে মনে পড়ে।
গানের লিংক-অনুপ ঘোষাল
কিছু লোককে দেখতাম গান শুনতে শুনতে বা সিনেমা দেখতে দেখতে কাঁদে। অদ্ভুত লাগত, বিরক্তও, আমি কখনও কান্নাকাটি করিনা। একমাত্র মৃত মানুষের সামনে ছাড়া অন্য কোথাও মানুষকে কাঁদতে দেখলে আমার খুব বিরক্ত লাগে। আমি যাকে পছন্দ করি, ও যদি কোন ভ্যালিড কারন ছাড়া কাঁদে আমি বিরক্ত হই। বলি, "যা বলার বল, কান্নাকাটি করিস না।
ন্যাকা ন্যাকা লাগে"। ও আগে খুব দুঃখ পেত, এখন হয়ত সয়ে গেছে। মেয়েদের এই সয়ে যাওয়ার অদ্ভুত রকম একটা শক্তি আছে। আমাদের ছেলেদের হয়ত তার বিন্দুমাত্রও নেই।
কয়েকদিন ধরে এই গানটি শুনলেই, আমার চোখে পানি চলে আসে।
কেন বুঝতে চেষ্টা করছি! মা-বাবা কেমন যেন হয়ে গেছে। আগে মা ধমক দিত, জিনিসপত্র উলটা পালটা করে রাখলে চিল্লাচিল্লি করত। আমিও চিল্লাচিল্লি করতাম। হয়ত বেশির ভাগ ছেলেই করে। এখন মার সাথে একটু জোরে কথা বললে মা কেমন যেন চুপচাপ থাকে।
বেশির ভাগ সময় কিছু বলে না। বাবা আগে দেরীতে বাসায় ফিরলে দরজাতেই ধমক দিত। এখন দেরী হলে ফোন করে, অথচ এখন আর ধমক দেয় না। কেমন যেন হয়ে গেছে মা-বাবা। এখন ধমকের সুরে কিছু বললে আমার ভাল লাগে।
আমি এসএসসির সময় রাত ২/৩ টা পর্যন্ত জাগতাম। মা আমার জন্য বসে থাকত, চা বানিয়ে দিত। আমি বলতাম, 'আমি পড়ি, তোমার অন্যরুমে জেগে থাকার দরকার কি?' মা ঠিকই জেগে থাকত। কখনই নিজে নিয়ে খেতে হয় নি, মা পাশে বসে বেড়ে দিয়েছে। আজকাল মার জেগে থাকা নিষেধ, রাত ৯টায় ভাত খেয়েই ঔষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তে হয়।
আমরা নিয়ে খাই। প্রতি রাতে খাবার পরে আটটা ঔষুধ খেতে হয়। বাবা-মায়ের আগের ছবিগুলো এখনের ছবির সাথে মিলিয়ে দেখি। সত্যিই আমার মা-বাবা বুড়ো হয়ে গেছে। অসহায় হয়ে যাচ্ছে।
এমনটা আমি দেখেছি আমার দাদা দাদি, নানা নানিকে। এমন বাবা মায়ে আমি অভ্যস্ত নই। আমার বাবা মা আমাকে ধমক দেবে, শাসন করবে, নানা কাজে বাধা দেবে কিন্তু এখন আর দেয় না। আগে বাবা-মা একধরনের হুকুম করত, এখন অন্য ধরনের অনুরোধ করে। আমার ভাল লাগে না।
বাবা শরীরটাও ভাল না, পেটের সমস্যা। কালকে ১১ বার টয়লেটে যেতে হয়েছে, ডাক্তার বলল আজও যদি তেমন হয় তবে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। ইদানিং এগুলো দেখতে ভাল লাগে না। সময়টা যদি আজ হতে দশ বছর আগে থামিয়ে দিতে পারতাম খুব ভাল হত।
পোস্টের সাথে সম্পর্কহীন আলোচনা এখানে করুন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।