একজন আমি, একজন হারিয়ে যাওয়া এবং একজন দূর প্রবাসী
মধু মহান আল্লাহ পাক এর এক অপার দান। মধু মানুষের দৈহিক রোগের ওষুধ বলে পবিত্র কুরআন শরীফে উল্লেখ রয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, “...এর উদর হতে নির্গত হয় বিবিধ বর্ণের পানীয়, যাতে মানুষের জন্য রয়েছে আরোগ্যের ওষুধ। নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্য নিদর্শন রয়েছে। ’ (সূরা নাহল)
মধু খাওয়া সুন্নতে রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছাহাবীদেরকে মধু ব্যবহারের উপদেশ দিতেন। কেননা, এরমধ্যে রয়েছে অনেকগুলো রোগের মহৌষধ। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ গবেষণা করে দেখেছেন, মধুতে রয়েছে সতের প্রকারের ভিটামিন।
আয়ুর্বেদ এবং ইউনানী শাস্ত্রে মধুকে বলা হতো মহৌষধ। প্রাচীনতম চিকিৎসা ব্যবস্থায় মধুর যথেষ্ট ব্যবহার হতো।
আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার দাপটে মধুর সেই কদর অনেক কমে গেছে। মধু পতঙ্গের সাহায্যে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়। একে কখনোই কৃত্রিম উপায়ে তৈরি করা যায় না। সম্প্রতি গবেষণায় জানা গেছে, মধুর রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট, যা দেহকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের হাত থেকে রক্ষা করে বার্ধক্য ঠেকাতে সাহায্য করে। মধুতে প্রচুর ক্যালরী থাকায় দুর্বল এবং কঠোর পরিশ্রমী মানুষের বলবর্ধক হিসেবে এটা অত্যন্ত উপযোগী।
শিশুদের প্রতিদিন অল্প পরিমাণ মধু খাওয়ার অভ্যাস করলে তার ঠান্ডা, সর্দি-কাশি, জ্বর সহজে হয় না। মধুর ক্যালরী রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়। ফলে রক্তবর্ধক হয়। নিয়মিত মধু খেলে হাঁপানি এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করা যায়। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, চিনির পরিবর্তে মধুর ব্যবহারে অতিরিক্ত অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়।
সেজন্য চা, কফি, দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়াই উত্তম। কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে গরম দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। রূপচর্চায় মধু ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
মধুর গুণের শেষ নেই। সুতরাং সুস্বাস্থ্য রক্ষায় শিশু, বৃদ্ধ সকলেরই নিয়মিত মধু খাওয়ার অভ্যাস থাকা উচিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।