আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একজন মহান রাষ্ট্রনায়ক তার সমস্ত অর্জনকে জলান্জলি দিলো কর্ণেল তাহেরকে হত্যার মাধ্যমে

একজন ইউনুস খান বেঁচে থাকতে চান গণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যেগ গ্রহণের মাঝে।

পোস্ট কৃতজ্ঞতায় ব্লগার এস্কিমো কারন উনি এই লিংকটির মাধ্যমে অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দিয়েছেন- http://www.col-taher.com/gopon.html শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশ স্বাধীনতার ইতিহাসে যার নাম উৎপত ভাবে জড়িত, স্বাধীনতার ঘোষক, একজন সেক্টর কমান্ডার। যুদ্ধপরবর্তী স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে যে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যাক্ত করতেন। সার্কের স্বপ্নদ্রষ্টা, খাল খনন কর্মসূচীর মাধ্যমে যে বাংলাদেশকে দিতে চেয়েছিলো কৃষিনির্ভর অর্থনীতি............. তার সমস্ত অর্জনই একটি জায়গায় এসে থেমে গেছে তা হলো কর্ণেল তাহেরকে ফাঁসির মাধ্যমে।

অনেকেই দাবি করে থাকেন বাংলাদেশের মাটিতে জামাতি ইসলামের পুর্ণবাসনের জন্য জিয়াই দায়ী। এই ব্যাপারে আমার কিছুটা দ্বিমত আছে। কারন ৭১ এর যুদ্ধপরবর্তী বিভিন্ন রাষ্ট্রনায়কেরাও বাইরের চাপেও হোক বা দেশের চাপেই হোক যুদ্ধাপরাধীদের ঐ ভাবে বলার মতো বিচার করতে পারেনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির জনকের নৃশংস হত্যাকান্ডের পর একের পর এক সামরিক অভ্যুথান, ক্ষমতা লিপ্সুদের একের পর এক ষড়যন্ত্রের সুযোগে ততদিনে দুরন্দ্ধর যুদ্ধাপরাধীরা...জামাতিরা...... নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করে ফেলে। এবং বিভিন্ন ক্ষমতা লিপ্সুদের সাথে আতাঁত করে রাষ্ট্রক্ষমতার স্প্ন দেখিয়ে নিজেদেরকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে।

ষড়যন্ত্র আর পাল্টা ষড়যন্ত্রের রোষানলে পরে ৭ই নভেম্বরের মূলনায়ক কর্ণেল তাহেরের ফাঁসির কাষ্টে ঝুলতে হয়। সবচেয়ে আশ্চর্য লাগে এই অবিবেচকের মতো সিদ্ধান্তটা আসলো জেনারেল জিয়ার কাছ থেকে। একজন অকৃতজ্ঞের মতো আচরণ করে তার সমস্ত অর্জনকে করলো বিতর্কিত। জেল থেকে বের হওয়ার পর একদিন অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন (কর্ণেল তাহেরের ভাই) এর সাথে আমার মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে দেখা। সাথে উনার ছেলে।

আমি আমার আব্বার পরিচয়ে আমার পরিচয় দিলাম। উনি আমার আব্বাকে চিনতে পারলেন। উল্লেখ্য যে কর্ণেল তাহেরের নেত্রকোণার গ্রামের বাড়ি আমার গ্রামের বাড়ি থেকে খুব বেশী দূরে নয়। অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন সেদিন কথায় কথায় বলেছিলেন একজন বিধবা নারী হিসাবে খালেদা জিয়া অনেক এগিয়ে গিয়েছেন এবং দু দুবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন...... অথচ উনি একবারও মনে করলেন না তার স্বামী যে ভুল করেছিলো তার জন্য উনার ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। উনি জেলে থাকার সময় একবার আদালতে খালেদা জিয়াকে বলেছিলেন আপনি যান কর্ণেল তাহেরের বউয়ের কাছে ক্ষমা চান।

নিশ্চয় উনি আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন এবং উনার মনের কষ্ট কিছুটাও হলে লাঘব হবে। আমার ব্যাক্তিগত মতামত হলো খালেদা জিয়ার উচিৎ তার ভুলের জন্য কর্ণেল তাহেরের বউয়ের কাছে ক্ষমা চাওয়া............।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.