আমার মৃত্যু যেন আমার সকল ইচ্ছা পূরণের পর হয়
একদা: একদা মনে আশা নিয়ে চাকুরী খুজতে আমি বের হলাম ঢাকার উদ্দেশ্য। কিন্তু মামা না থাকায় আমার চাকরী হলো না। সাটিফিকেটগুলোতে গ্রামের গন্ধ থাকায় তাদের মনে একটা নকল নকল গন্ধ আমি টের পেতাম। পরে ডাকবো বলে হতাশা অনেকে দিয়েছে। প্রায় দুমাস হতে চললো এই অবস্থা।
একদা আমি চাকুরী খুজতে ঢাকা এসেছিলাম।
এবং: এবং আমার অনাহার আর অদ্ধাহার শুরু হয়ে গেলো। কোনো কুল কিনারা না পেয়ে টিউশানি করবো বলে সিদ্ধান্ত নিলাম। কিন্তু আমার হাড্ডি মাংসের শারীরিক গঠন দেখে যে কেউ ভয় পেয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। তারপর জিহাদ একটা টিউশানি দিলো।
একটা মেয়েকে পড়াতে হবে ইন্টারে পড়ে, শুধু হিসাব বিজ্ঞান পড়াতে হবে।
এবং আমার একটি টিউশানি হয়েছিলো
অতপর: অতপর আমি পড়াতে থাকলাম। মেয়েটির পড়ালেখা থেকে বেশি সাজ-সজ্জায় আগ্রহ ছিলো। তাকে বোঝালাম পড়তে হবে না হলে তুমি পাশ করতে পারবে না। সে কথা কানে তুলে না।
মাঝে মাঝে একটু রাগ করলে মনোযোগী হয় কিন্তু কিছুক্ষন পর আবার আগের মতই হয়ে যায়। একমাস পার হলো, এই প্রথম হাতে কিছু টাকা পেলাম। পড়াতে থাকলাম, মাঝে মাঝে মেয়েটিকে দেখতাম, ভালোই... সাজলে ভালো দেখায়। আজ যেমন চুল খোলা মাঝে মাঝে চুলে হাত দিচ্ছে, তাকে ভালোই দেখাচ্ছে।
কয়দিন পরেই তাকে ভাল লাগতে শুরু হলো।
কিছুদিন পর পড়াতে গেলাম। মেয়েটিকে অনেক হাসি খুশি দেখলাম। প্রশ্ন করতেই বলে আমার হবু বর এসেছে আমেরিকা থেকে আজ সবাই বাইরে যাবো, আর আপনে বলতেন না আমি কেনো পড়ালেখা করি না? আমি তো আমেরিকা চলে যাবো পড়ালেখা করে কি হবে, আম্মুকে বলে আপনার এ মাসের টাকা টা নিয়ে আসছি আমি, আর হয়ত আপনাকে আসতে হবে না। .....
অতপর আমি আবার গ্রামের পথে.....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।