ফ্রেমে ফাগল....
"ইউ আর আ ম্যাগনিফিসেন্ট কান্ট (cunt)" জোডি ফস্টার এ কথার উত্তরে বল্লেন "থ্যাংক ইউ"। ছবিটার এপর্যন্ত দেখে মবিনুর রহমান খান বাথরুমের দরজার দিকে তাকান। এখনো বাথরুমে পানি পড়ার শব্দ হচ্ছে। "ফারিয়া মাগি কি গায়ে গু মাইখা আইছিল নি?" মবিন ভাবতে থাকেন। খান সাহেব আজ সন্ধ্যায় তার গার্মেন্টসে আগুন লাগিয়ে এসেছেন।
মনটা বেজায় খারাপ। ইন্স্যুরেন্সের টাকাটা তার এই মূহুর্তে ভীষণ দরকার। সাধারনতঃ যখন মন তার খুব খারাপ থাকে তখনই তিনি ওল্ড ডিওএইচএস এর এই ভাড়া বাড়ীতে রাত কাটাতে চলে আসেন। এখন তার মোবাইল ফোনটা বন্ধ, তিনি বন্ধ মোবাইলের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলেন। বয়স হয়ে যাচ্ছে খুব বেশী টেনশন এরকম বয়সে নিতে ইচ্ছা করে না।
যদিও টেনশন, তার ইচ্ছা অনিচ্ছার তোয়াক্কা না করে সবসময়ই তাকে তাড়া করে ফেরে। দুঃখের সময় মানুষ তার আসেপাশে বন্ধুর অস্তিত্ব পছন্দ করে, আর খান সাহেব সাধারনতঃ বান্ধবীদের পাশে থাকেন এই যেমন আজ ফারিয়া আছে তার সাথে। ফারিয়ার বয়স আঠাশ বছর এবয়সেই সে দুটো ফ্যাশন হাউসের মালিক। একটাতে অবশ্য খান সাহেব পার্টনার হিসাবে আছেন কিন্তু বিষয়টা গোপন। এই গোপনীয়তার কারন এখনও জানা যায়নি।
গোপনীয়তার কারন ও গোপন থাকবে এটাই স্বাভাবিক। খান সাহেবকে এখন অনেক অস্থির লাগছে। অস্থির অবস্থায় আসলেই কোন কিছু ভাল লাগেনা, যেমন তিনি মুভিটিতে মনোযোগ দিতে পারলেন না। তবে জোডি ফস্টার তার পড়ন্ত বয়সেও খান সাহেবকে আকৃষ্ট করতে পেরেছে। বিদেশী মেয়েদের ষাট বছর বয়সেও যৌবন টুইটুম্বুর থাকে আর এদেশে ২৫ পার হলেই নারীদের মুখ দেখলে মনে হয় কবরে একপা দিয়ে বসে দোয়া দুরূদ পড়ছে।
খান সাহেব অসস্তিতে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। ঠিক এমন সময়ে বাথরুমের দরজা খোলার শব্দ পাওয়া যায়। খান সাহেব যখন দেখেন সম্পুর্ন নগ্ন অবস্থায় ফারিয়া বাথরুমের দরজা খুলে চৌকাঠে এক হাত দিয়ে ভর দিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছেন, তখনই তার মুখ থেকে অস্ফুটে বের হয় ' ইউ আর এ ম্যাগনিফিসেন্ট কান্ট"। ফারিয়া তার জবাবে বলে "থ্যাংক ইউ"। ফিকশন এবং বাস্তবতা একাকার হয়ে যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।