আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাঁদের তারিখ হেরফের: বর্তমান সউদী সরকার ইহুদীদের চর; প্রমাণ হিসেবে এটাই কি যথেষ্ট নয়?

জালিমের ফাঁসি হোক, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হোক, রাজাকারদের ফাঁসি হোক

মুসলিম বিশ্ব হতবাক! সউদী আরব এটা কি ঘোষণা দিলো? পবিত্র রমযান শরীফ উনার ২৮ তারিখ চাঁদ তালাশ করতে হবে? একটা অমুসলিমও এটা জানে যে, আরবী চন্দ্রবর্ষ অনুযায়ী যেকোনো চন্দ্র মাস ২৯ বা ৩০ দিনের হবে। তাহলে ২৮ দিনে কেন চাঁদ তালাশ করতে হবে? পাঠক! ব্যাপারটা অদ্ভুত হলেও ঘটনা সত্য। এ বছর (১৪৩৪ হিজরী) সউদী আরবে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ ২৮ দিনেই শেষ হতে পারে এমন বিভ্রান্তিকর ঘোষণা দেয় সউদী সুপ্রিম কোর্ট। এ ক্ষেত্রে ঈদের পরদিন আরেকটি রোযা রাখার মতো উদ্ভট সিদ্ধান্ত জানায় সউদী আরবের ওহাবী মতবাদের কট্টর অনুসারী নেতারা। চাঁদ দেখামাত্রই নিকটস্থ আদালতে জানানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টের এক বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়।

এ ধরনের উদ্ভট বিজ্ঞপ্তির ফলে সউদী আরবে ও তাদের অন্ধ অনুসরণকারী দেশগুলোতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের তারিখ নিয়ে চরম বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। ২৮ রোযার শেষে কিভাবে ঈদ হবে, সেই প্রশ্ন ছিল বিশ্বের সচেতন মুসলিমদের মুখে মুখে। উল্লেখ্য, এর আগে একই ধরনের সমস্যা তৈরি করেছিলো হিজরী ১৪০৪ সালে (ঈ: ১৯৮৪ সাল)। সউদী আরবের ওহাবী নেতারা স্বীকার করেছে, হিজরী ১৪০৪ সালের পবিত্র রমাদ্বান মাস গণনার নিয়মটি সঠিক ছিল না। শুরুতেই ভুল করা হয়েছিল।

এ কারণে ওই বছর ২৮ রোযার শেষে ঈদের চাঁদ উঠতে দেখে সউদী আরবের মানুষ। ওই বছরও স্বাভাবিক নিয়মে ২৮ রোযা শেষে মধ্যপ্রাচ্যের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরের রোযাটি রাখার মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই পরদিন রোযা রাখার ব্যবস্থা করছিলো। কিন্তু তাদের অবাক করে দিয়ে সন্ধ্যার আকাশে দেখা দিয়েছিল শাওয়ালের চাঁদ। আর এমনটি ঘটেছিল সউদী আরবের ওহাবী সরকার চাঁদ না দেখে চাঁদ উঠার একদিন পরে রোযা শুরু করার কারণে। ফলে সউদী আরবের বিভিন্ন এলাকায় সেই চাঁদ দেখতে পেয়ে বিচলিত হয়ে যায় স্থানীয় মুসল্লীরা।

এরপর কথিত ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে তুমুল আলোচনা শেষে পাওয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে মধ্যরাতে পর দিন ঈদ হওয়ার ঘোষণা দেয় সউদী সরকার। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তি এতটা আধুনিক না হওয়ায় খবরটা সারা দেশের মানুষকে তারা জানাতে গিয়ে বিপাকে পড়ে যায়। একই সঙ্গে বিষয়টা ভীষণ বিভ্রান্ত করে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমানদের। আরব দেশগুলোতে এর পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেন বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা। ফলে কোথাও সরকার ঘোষিত দিনে কোথাও বা এর পরদিন পালিত হয় ঈদ উৎসব।

(সূত্র: ইন্টারনেট) পাঠক! শুধু বর্তমান সউদী রাজপরিবার নয়, তাদের পূর্বপূরুষদের ইতিহাসও সাক্ষী দেয় যে, বহুকাল পূর্বে থেকেই তারা ইহুদীদের সাথে হাত মিলিয়েছে বিশ্ব মুসলিমদের মাঝে ফিতনা সৃষ্টি করে পবিত্র দ্বীন ইসলামকে কলঙ্কিত করতে; কোন মুসলমান ইসলাম ধর্মকে বাদ দিয়ে অপদার্থ বস্তুর ন্যায় ধর্মহীন হয়ে থাকে? বহুকাল আগে থেকেই তারা চাঁদের তারিখ নিয়ে হেরফের করে আসছে। অথচ রোযা, হজ্জ, পবিত্র শবে বরাত, শবে ক্বদর, পবিত্র শবে মি’রাজ এমন আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ, ফযীলতপূর্ণ ইবাদতের দিন নির্ভর করে আরবী মাসের চাঁদের তারিখের উপর। যেমন পবিত্র হজ্জ পালনে যিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ আরাফার ময়দানে অবস্থান করতে হয়। এখন যিলহজ্জ মাসটিই যদি শুরু করা হয় চাঁদ দেখার একদিন আগে বা ১দিন পরে তাহলে সেই ৯ তারিখের ইবাদতটি পালিত হবে ৮ তারিখ অথবা ১০ তারিখ। বলুনতো হজ্জ হবে কিনা? এভাবে মুসলমানদের প্রধান শত্রু ইহুদীদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ হাজীদের হজ্জ নষ্ট করছে।

শুধু হজ্জ নয়, সারা বছর আরবি মাস নির্ভর সমস্ত ইবাদত নষ্ট করে দিচ্ছে। তাহলে সউদী সরকার যে ইহুদীদের এক নাম্বার দালাল, বিশ্ব মুনাফিক এবং পবিত্র ইসলাম ধর্ম বিকৃত করার চেষ্টায় লিপ্ত থেকে কাফির হয়ে গেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। উপরোক্ত ঘটনাসমূহই প্রমাণ হিসেবে যথেষ্ট।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।