খুবলে খাচ্ছে নিজের লালিত নিজস্বতা, খুবলে
খাচ্ছে যত মনুষত্ব্য গাথা, আল জীব
বের করে চারদিক ঘিরে আছে নৈতিক শূন্যতা,
শূন্যতা গর্জন করে অবসন্ন চেতনার
মোহনায়, শূন্যতা গ্রাস করে
গহীন গহনে ; হাহাকারের তীব্রতা, অস্বস্তি, অক্ষমতা,
বিনাশী ঢোলের বারিতে নাচে উন্মত্ত নাচন
ধর্ষিত বিবেকের বিম্বে ... সুবোধ প্রবৃত্তির
কন্ঠ চেপে ধরে পশুত্বের কুশ পুত্তলিকা,
হাপরের গায়ে নাচে শৈশবের ভয়াক্রান্ত হৃৎপিন্ডের
নগ্ন উল্লাস, শ্বাস নিতে বাড়তি শক্তির অপপ্রয়োগ,
বুকের স্পন্দন তবু বড় অনিয়োমিত|
ঝিঁঝিঁ পোকাদের আর্ত চিৎকার মস্তিস্কের কেন্দ্রে, গহ্বরে
এখানে ওখানে কি বিভৎস ফাটল, কি সুশৃংখল ধ্বংস;
ঘুমের গভীরে আর্তনাদ করে খোলা চোখ
কি যেনো মনে পড়ে ধরফর করে উঠি, বুকের পাঁজরে
উত্তাল ঢোলের বাড়ি, চিন্তার উপকন্ঠে উঁই এর ধিঁবি,
চির অচেনা, চির আপন প্রলয় মাতম, ধ্বংস|
চারদিকে অসহায় দৃষ্টি, ভেজা চোখের কোণে ফুলকে
উঠে মুহূর্তের অগ্নি স্ফুলিংগ, খুজে ফিরি একটি মুখ,
দু'টি চোখ, খুজে ফিরি একজন আপনজন, খুজে ফিরি
একজন অপরিচিত, খুজে ফিরি একটা স্বত্বা, খুজে ফিরি
প্রেতাত্বা, শুধু দু'টি কথা বলার জন্যে, শুধুই
খুবলে খাওয়া নি:সংগতাকে একটু নির্জীব করতে|
একাকীত্ব এমন নৃশংস? সুখের স্বৃতি হানে এমন হিংস্র থাবা?
হৃৎপিন্ড টা ধরে এমন টানাটানি কে করে? পাজরের হাড়
গুলোকে ফাকি দিয়ে তার কোথায় হারাবার চিন্তা?
বেদনা? বিরহ? অপমান? অসহায়ত্ব? অস্থিরতা?
ক্রোধ ? লালসার উদগ্রীত ফেনা? ঝড়? দৈন্যতা?
নৃশংসতা? ফুলের আঘাত? হায়েনার ছোবল?
আত্ব ঘৃণা? আত্বার অপমৃত্যু? বোধের শূণ্যতা?
মূর্ত বিমূর্ত সব চেতনার সামষ্টিক সংঘর্ষ
বড় ভয়াল, বড় উদগ্র, হিংস্র, নগ্ন তার আস্ফালন|
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।