একটি রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের কারনেই কি লালনের ভাষ্কর্য ভেঙ্গে ফেললো সরকার ?নাকি এর পেছনে অন্য কোন রহস্য রয়েছে। সারা দেশে অনেক ভাষ্কর্য আছে। ভাষ্কর্য দেখলে হাজীদের কাপড় নষ্ট বা ঈমান নষ্ট হলে আমাদের কিছু করার নাই । যাদের ঈমান এত দুর্বল তাদের আল্লা বাঁশ দেবে। আসলে পুরো ব্যাপারটা পলিটিক্যাল।
ফকির উদ্দিন আর তার দল বল পুরো পুরি জামাতের গ্রীপে আটকে আছে। মুজাহীদ কেলেঙ্কারী থেকে বাচতেই রাতারাতি ভাষ্কর্য ভেঙ্গে ফেলেছে।
আর হঠাৎ কিছু লোক ইসলামের জন্য বেচায়েন হয়ে উঠলো কেন? এত দিন কি দেশে ভাষ্কর্য ছিল না? তাতে কি আমাদের ধর্ম নষ্ট হয়ে গেছে? শুধু ভাষ্কর্য কেন? তাহলে তো গান, বাজনা, ছবি, সিনেমা, রেডিও টিভি ,মেয়েদের লেখাপড়া, বিজ্ঞান, চিকিৎসা বিজ্ঞান, গনিত (ইমাম গাজ্জালী গণিত কে ইসলাম বিরোধী বলেছেন কেননা গণিত লজিক বা যুক্তি র জন্ম দেয় , আর যুক্তি হলো বিশ্বাসের বিপরীত) খেলাধূলা, নববর্ষ বরণ উৎসব এবং আরও অনেক কিছু - সব বন্ধ করে দিতে হবে। সারাদিন বসে বসে হামদান কাসিরান করতে হবে। এই বক ধার্মিকরা এবং ধর্ম ব্যবসায়ীরা একদিন ধর্ম গেল ধর্ম গেল বলে মুক্তি যুদ্ধের বিরোধীতা করেছে, খুন ধর্ষণ করেছে।
এই বক ধার্মিকরা ভারত বিরোধীতা করে সারা দিন আর ঈদের বাজার করতে ভারতে যায়। দেশের বাজার ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে। সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে নিজেরা ইহজগতে ফায়দা লুটেছে আর সাধারণ মানুষকে পরকালের হুর গেলমানের লোভ দেখিয়েছে। এই সব কিছু নিকৃষ্ঠ তম মানসিকতার পরিচয়। এরা মানুষ নামের কলঙ্ক।
লালনের ভাষ্কর্য পুনস্থাপিত করা হোক। ধর্ম ব্যবসায়ীরা নিপাত যাক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।