যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি
১/১১ নামক বাংলাদেশের একটা বিরাট ঘটনার পর যখন পূর্ববর্তী শাসক জোট দূর্নীতির দায়ে প্রধান শরিক দল বিএনপির বাঘা বাঘা নেতারা জেলগামী - তখন সেই জোটের সবচেয়ে সুবিধাভোগী দল জামাত নিজেদের একটু দূরত্বে নিয়া মিটিমিটি হাসি দিয়া প্রচার করতে লাগল - আমরা হলাম সৎ লোকের দল। সেই সময় আমাদের মতো কিছু নাদান বান্দা তাদের এই মিথ্যা প্রপাগান্ডা মোটের বিশ্বাস করিনি - কারন জানতাম জামাতীরা হলো বাংলাদেশের রাজনীতির সবচেয়ে কুটিল দল আর তাদের মধ্যে প্রচুর চোর বাটপার আছে - যারা অবশ্যই ধর্মের আলখাল্লার নীচে নিজেদের প্রকৃত চেহারা লুকিয়ে রাখে। হজ্জ নিয়ে কেলেঙ্কারী আর বিডি ফুডসের হিরোইন চোরাচালানের কাহিনী ছাড়াও চট্রগ্রামের জামাত শিবিরে জিম্মি ব্যবসার কথা সবার জানা। দৃশ্যত কোন বৈধ আয় না থাকলেও জামাতের নেতারা বিলাসবহুল জীবন যাপন করে - তাদের ছেলে মেয়েদের দামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ায় আর নিয়মিত বিদেশ ভ্রমন করে। তারপরও একটা প্রশ্ন করিয়াছিলাম - দীর্ঘ পাঁচ বছর একটা দূর্নীতিবাজ লুটেরা শাসকজোটের অংশিদার হিসাবে তারা কি সেই লুটপাটের কোন প্রতিবাদ করেছে ?
মোটেও তা করেনি - বরঞ্চ গ্যাটকো আর বড়পুকুরিয়ার মতো বিরাট অনিয়মকে সর্বোচ্চ কমিটিতে বসে অনুমোদন করেছে।
কিন্তু রাজাকারদের দলঠি ভেবেছিলো - ওদের খুটির জোর আর বিএনপির নেতাদের চিরাচরিত ডিগবাজীর কারনে ওরা হয়ে যাবে বাংলাদেশের বৃহত্তম দল - আওয়ামী আর ভারত এলার্জি কাজে লাগিয়ে বিএনপির জায়গায় নিজেদের বসাবে। তাইতো দেখি তারেক বা খালেতা জিয়ার জেলগমনে তাদের প্রতিক্রিয়া খুবই নিরব। বিএনপিকে ছাড়াই সরকার আর নির্বাচন কমিশনের সাথে সংলাপে বসেছে। তখন চারদলীয় জোট বিষয়টা হিমাগারে ছিলো।
কিনউত আলবদর নেতা নিজামীর জেল গমনে সব হিসাব নিকাশ উল্টে গেছে।
দ্রুতই এরা চারদল নামক জোটের বিষয়ে উৎসাহিত হয়ে উঠলো। জামাতের নেতারা বিএনপির সমাবেশের সামনের এবং মঞ্চের উপরের চেয়ারে নিজেদের উপবিষ্ট করো। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো - জেলের ভিতরে খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করতে গেল আল-বদর মুজাহিদ - সাড়ে তিনঘন্টা কুশলাদি বিনিময় করলো - খালেদা মুক্তি পেলেন।
যেহেতু বিএনপি আগের সংলাপে যায়নি - যার জন্যে নির্বাচন কমিশনই দায়ী - সেই সুবাদে অভিমান করে সাম্প্রতিক সংলাপে যাবে না বলে চিঠি দিলো। সাথে সাথে জামাতও বললো এরা সংলাপে যাবে না।
কেন? উত্তর সহজ - দালালির জন্যে কোন কোন যুক্তি লাগে না - কারন দালালদের কোন লাজলজ্জার বালাই নেই বা জবাবদিহীতার প্রয়োজন নেই।
উপদেষ্টার ভবিষ্যত বানী "রমজানের মধ্যেই বিএনপি সংলাপে আসবে" অনুসরন করে বিএনপি সংলাপে যাচ্ছে। কিন্তু দালাল জামাতের হয়ে গেল সমস্যা। ওরা না করেছে যাবে না - এবার নির্বাচন কমিশন তাদের আর ডাকলো না। বিরাট ফাপরে পড়ে গেল দালালরা।
এখন কি করে?
এই সময় এগিয়ে এলো বাংলাদেশে ওয়েস্টি মিনিস্টার ধাঁচের গনতন্ত্র চালুর প্রবক্তার আর লাইফ স্কীল টেনিং এর মাধ্যমে ইউরোপিয়ান জীবন যাপন শিক্ষার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক দম্পতি বাংলা সাপ্তাহিকে চটি সাহিত্যের লেখক শফিক রেহমান। উনি উনার বাসায় বসালেন বিএনপি আর জামাতকে - সাথে আরো দুইটা খুচরা পার্টি। অনেক আলোচনার পর প্রস্তাব হলো - দালাল বলে কি ওরা মানুষ না - ওদেরও ডাকা হোক। শফিক রেহমান নিজে পশ্চিমা সংস্কৃতির ধারক হলেও সুবিধার জন্যে জামাতিদের সাথে সখ্যতা করতে কুন্ঠিত না।
২০০১ সালের নির্বাচনে জামাতকের জোটকে বিজয়ী করতে শফিক রেহমানের অবদান অবশ্যই মনে রাখবে সবাই।
সেই শফিক রেহমান আবারো এগিয়ে এলেন দালালী করতে গিয়ে রাস্তায় পড়ে যাওয়া রাজাকারদের রক্ষায় - তার এই অবদান কি রাজাকাররা মনে রাখবে? প্রশ্নটা মনে আসলো - কারন দালালের দালালীর জন্যে কোন তস্য দালালকে কখনও পুরষ্কৃত হতে দেখি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।