আমার ভাই ২০০৩ সালে এসএসসি ও ২০০৫ সালে এইচএসসি সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কুষ্টিয়া ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি অনার্স বিষয়ে ভর্তি হয় আজ ৩ বছর হলো। তার বন্ধু-বান্ধব যারা মেডিক্যাল/ইঞ্জিনিয়ারিং বা বে-সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল তারা বর্তমান তৃতীয় বর্ষের ছাত্র-ছাত্রী। অথচ আমার ভাইয়ের প্রথম বর্ষ ইংরেজি অনার্সের রেজাল্টই হয়নি অর্থাৎ দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাস চললেও কাগজে-কলমে এখনো প্রথম বর্ষেরই ছাত্র।
অতীব দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে যে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এতোটাই স্বাধীন যে এদের জবাবদিহিতা বা দায়বদ্ধতা কারোর কাছে আছে বলে প্রতীয়মান হয় না। একই সেশনে পাস করে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে একজন উচ্চ শিক্ষা নিয়ে বের হয়ে এলো আর তারই ইয়ারমেট সেশন জটের যাঁতায় পিষ্ট হয়ে পচে মরছে। আজ দু-বছর দেশে কোন হরতাল/অবরোধ বা রাজনৈতিক সংকটের কারণে ভার্সিটিগুলো প্রভাবিত হয়নি। এতদিনে ছাত্রদের এই সেশন জট অনেকটাই মোচন হওয়ার কথা থাকলেও তা না হয়ে দিন দিন এ জটিলতা বাড়ছেই। আসলে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ ব্যক্তিগত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও স্বার্থের তাগিদে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচার দেয়া, পরীক্ষা নেয়া, রেজাল্ট দেয়া, অর্জিত ছুটি ভোগ, সরকারি অর্থে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের নেশায় এতোই মত্ত থাকেন যে, আরো দশ মায়ের দশ হতভাগা ছেলে যে তাদের দিকেই তাকিয়ে আছে এটা তাদের স্মরণই থাকে না। পরিশেষে বিষয়টি কি একটু খতিয়ে দেখবেন কুষ্টিয়া ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।