আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আলোকিত জীবন

অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা

নিয়মিত আলোকিত নারীর পরিচয় আসে সংগ্রামে, আমি আলোকিত নারীর পরিচয় পেয়ে মুগ্ধ আবেশে নিবিষ্ঠ মনে পাঠ করি তাদের বক্তব্য। আজকের আলোকিত নারী আয়েশা আদুবিয়া আমেরিকার একজন মুসলিম মহিলা। তিনি একজন পাকিস্তানি নাগরিককে বিয়ে করেন। স্বামী স্ত্রী দু'জনেই নিউইয়র্কে আমদানি-রফতানির ব্যবসা করেন। আয়েশা আদুবিয়া মিস্টারস ইন ইসলামের সদস্য।

এই সংস্খার প্রতিষ্ঠাতা কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। এই সংস্খা মুসলিম মেয়ে এবং মহিলাদের মধ্যে ধর্মীয় অনুভুতি জাগ্রত করার এবং অমুসলিম সমাজের মহিলাদের মধ্যে ধর্মীয় প্রশিক্ষণের দায়িত্ব পালন করে। সংগ্রাম কয়েক দিন সম্পাদকীয়তে ঘোষণা করেছে দেশের যুব সমাজ ধ্বংসের মুখে, নাইট ক্লাবের বেলেল্লাপনায় সামাজিক অনুশাসন ধ্বসে যাচ্ছে। আমাদের যুব ও তরুন সমাজ ইসলামের আলো থেকে মুখ ফিরিয়ে জাহেলিয়াতের অন্ধকারে চলে যাচ্ছে দেখে আমিও হতাশ। ফ্রি মিক্সিং কখনও যুব সমাজকে ভাল কিছু শেখায় না।

আধুনিকতার নামে অসভ্যতা কেবল স্বার্থপরতাই শেখায়, দেশ গড়তে নয়। মুক্তিযুদ্ধে যাদের খেসারত দিতে হয়েছে তারা জানেন কত ত্যাগ আর পরিশ্রমে এ দেশটা গড়া। সেই দেশের ভবিষ্যৎকে উজ্জ্বল করতে হলে যুব সমাজকেই সততার সাথে আগামী দিনের নেতৃত্বে দিতে হবে। যুব সমাজ, তরুণ সমাজ আধুনিক হবার প্রতিযোগিতায় বিশ্বাসকে ভঙ্গ করছে। আয়েশার উপলব্ধি, মুসলিম দেশের নারীদের চলাফেরা আমাকে হতাশ করেছ।

। আমি দেখেছি, মুসলিম দেশের মেয়েরা পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুসরণ-অনুকরণ করছে। তারা নিজেদের আধুনিক প্রমাণ করার জন্য পাশ্চাত্য সভ্যতার অনুসরণ করছে। পাশ্চাত্যের মেয়েদের অনুসরণে পোশাক পরিধান করছে। অবশ্যই আমাদের ইসলামী আকিদা মেনে পোশাক পরিধান করতে হবে।

একজন মুসলিম নারীকে অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে ইসলামের সৈন্দর্য্য, ইসলাম নারীকে যে অধিকার দিয়েছে, সেটা উপলব্ধি করেই পাশ্চাত্যের দেশের নারীরা ইসলাম গ্রহন করছে, সেখানে মুসলিম দেশগুলোর ইংরেজি সংবাদপত্র মুসলিম মেয়েদের বেপর্দা, বেআব্রু জীবনযাপন করতে শেখায়। আয়েশা আদুবিয়া মুসলিম দেশসমূহের ইংরেজি সংবাদপত্রের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে এ সকল সংবাদপত্রই ছেলেমেয়েদের মনে সন্দেহ সংশয় তৈরি করছে। মুসলিম বিশ্বে পাশ্চাত্যের প্রভাবে প্রভাবিত নারীরা নারীদের অধিকারের কথা বলেন। অধিকার দাবি করে।

গভীরভাবে লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে যে এসব অধিকার দাবির আড়ালে প্রকৃতপক্ষে তারা ইসলাম থেকে পলায়নের পথ খুঁজছে। পাশ্চাত্যের নারীরা নিজেদের নির্বুদ্ধিতার কারণে যে পথ গ্রহণ করেছে এবং যেপথ থেকে বের হওয়ার উপায় খুঁজছে মুসলিম বিশ্বের আধুনিক নারীরা কি সেই পথেই যেতে চায়? প্রকৃত ইসলাম শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজের অধিকার সচেতন হয়ে উঠতে হবে নারীকে। ইসলামের মনগড়া ব্যাখ্যা না করে বরং ইসলাম নারীদের যে অধিকার দিয়েছে এবং নারীদের যে দায়িত্ব ও কর্তব্য দিয়েছে সেই সকল বিষয়ে আগামী দিনের বংশধরদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেয়। এ মহান দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের মাধ্যমে জাতির ভবিষ্যত বংশধরদের গড়ে তোলা যায়। একটি জাতির ভবিষ্যত এসব বংশধরদের উপর নির্ভরশীল।

এই দায়িত্ব উপেক্ষা করার মতো নয় এবং এই দায়িত্ব তুচ্ছ এবং ক্ষুদ্র নয়। আল্লাহ নারীদের এতো বড় দায়িত্ব দিয়েছেন এজন্য নারীদের দায়িত্ব পুরুষদের দেয়া হয়েছে। আল্লাহ প্রদত্ত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের জন্য যে অধিকার প্রয়োজন সেই অধিকার অবশ্যই দাবি করবেন। কিন্তু আল্লাহর ওয়াস্তে এর বাইরে যাবেন না। এর বাইরে রয়েছে ধূ ধূ মরীচিকা।

নারীর মর্যাদা ও সৌন্দর্য তার পুরুষালি আচরণ প্রকাশের মধ্যে নয় বরং ফিতরাতের নীতি অনুযায়ী নারী হয়ে থাকার মধ্যেই রয়েছে তার সৌন্দর্য। নারীদের ভালোভাবে শিক্ষা দিন যেন তারা আদর্শ মা হতে পারে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।