যা অন্ধ করে তা-ই অন্ধকার।
অন্ধকারের সম্পর্ক কি শুধু আলোর সাথে? অরব অন্ধকার, কুটিল অন্ধকার, কোমল অন্ধকার, শীতল অন্ধকার, ঝিমানো অন্ধকার, চাপ-চাপ অন্ধকার, তরল অন্ধকার, নিথর অন্ধকার, স্নিগ্ধ অন্ধকার অথবা মনের অন্ধকারের রূপই বা কেমন?
সামহয়্যারে কি অন্ধকার আছে, কে জানে? আলোকিত অন্ধকার থাকতে পারে। তারপরও কেউ কেউ বলে ফেলতে পারেন, 'সামহয়্যার তুমি উদার জোছনা। '
'অরব অন্ধকারের ঘুম থেকে নদীর ছলছল শব্দে জেগে উঠবো না আর' --Ñ কথাটি দিয়েও জীবনানন্দ দাশ তা রাখতে পারেননি। বারবার আমাদের স্মরণে জেগে উঠছেন, হরেক কায়দায়।
দিনের ভাটার শেষে গলিত অন্ধকারের মরা মাঠটা হয়তো ধুধু করে। হয়তো সামহয়্যার বিকনের মতো চব্বিশ ঘণ্টাই জেগে থাকে। তারপরও এখানে কোমল শীতল আলোকিত অন্ধকার আছে যা প্রায় আছড়ে পড়ে সেই স্তব্ধ অন্ধকারে। কাউকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। কারণ কারো কারো মন আর চোখের কোণে বাসা বেঁধেছে স্থায়ী অন্ধকার।
আলোর মিছিলটা ভারিই হতে চায়। কারণ বাঁধভাঙার আওয়াজ মানেই তো 'উদয়-অচলে দিবামুখে/ একচক্রে দিলা দরশন/ অংশুমালা গলে/ বিতরি সুবর্ণরশ্মি চৌদিকে তপন। '
আলোর পায়রাগুলো ডানা মেলুক Ñ- আমার মতো এটা তো অনেকেরই চাওয়া। অন্ধকারে অন্ধ-দ্বন্দ্ব যেমন জমে না, তেমনি 'অন্ধ অন্ধকারের' আলোর পিপাসাটাও হয় মেকি। তারপরও পুঞ্জিত নিঃশব্দ প্রশান্ত দুঃখের মতো কিছু সান্দ্র সুনিবিড় অন্ধকার জীবনের ঘাটে ঘাটে লেপ্টে থাকে।
এ অন্ধকারও হয়তো তাড়ানো যায়। কিন্তু মনের আঁধার?
হায়! বালতি বালতি তরল অন্ধকার প্রতিদিন কে যেন ঢেলে দেয় আলোকিত সামহয়্যারের বুকে!
সময় ডানা-নাড়ে। আলোর গান গায়। প্রখর সূর্যালোকের নিচে দাঁড়িয়ে কেউ কি অমাবস্যার সূচিভেদ্য অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে? যাক না। যেতে দিন।
কারো কারো জন্য এটাই তো ভবিতব্য!
যন্ত্রণার ভেতর থেকে নতুন জীবন আসে। এটাই আমাদের আলোকিত অন্ধকার, এটাই আমাদের সামহয়্যার!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।