বুকে মানচিত্র খোচিত জামা আর মাথায় লাল-সবুজের পতাকা, মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা!!! এমন দেশপ্রেমিক হতে আমি চাই না। সুখে-দুঃখে দেশের জন্য শত্রুর বন্দুকের নলে বুক পেতে দেয়ার মত দেশপ্রেমিক হতে চাই আমি... ডিসেম্বরের শেষ দিকে হঠাৎ করেই লক্ষ্মীপুরের গ্রামের বাড়িতে যাই। এইবারকার গ্রামের ভ্রমণটি একধরনের ঈদের আমেজের মতই ছিল। যেহেতু বছরের প্রথম মাস তাই পুরনো এমন অনেক কেই পেয়ে গেলাম, যাদের বিগত একদশকেও দেখা হয়নি:-bd বেশ মজাতেই কাটল দিনগুলো। কমতো নয়, বাল্যকালের প্রায় দশ বছরের স্মৃতি আছে তাদের সাথে।
যাই হোক সেখান থেকে দুজোনের কথা বলছি আজ। তবে নামগুলো আপনাদের কাছে গোপনই থাকবে, বুঝার সুবিধার্থ কল্পিত নাম ব্যবহার করলাম।
১।
আমার বন্ধু নাবিল, বাবা নৌবাহিনীর অফিসার হলেও চট্টগ্রামে আরেকটি বিয়ে করার কারনে তাদের তেমন কোন খোঁজ নিত না। একমাত্র বড় ভাইই তাকে পড়া-লেখা শিখিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে পাশ করে ভাল একটা সরকারি চাকরীও ডেয়ে যায় নাবিল। বর্তমানে রুপালী/অগ্রনী ব্যাংকের নোয়াখালীর কোন একটি ব্রাঞ্চের শাখা ব্যাবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করছে।
যাই হোক, তার সাথে অনেক দিন পর দেখা হতেই পুরনো বন্ধু হিসেবে যা হওয়ার তাই হল। সে বেশ স্মার্ট আর সুদর্শন। এক পর্যায়ে ব্যক্তিগত আর পারিবারিক কৌশলাধি জিজ্ঞেস করতেই তাকে কেমন যেন অপ্রস্তুত হতে দেখলাম।
বিষয়টি খটকা লাগলেও কিছু বল্লাম না। পরে এক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম মূল ঘটানাটি।
এক মহিলা, বেশ সুন্দরী। স্বামী বিদেশ থাকেন, দুই সন্তানের জননী। এখনকার প্রাবাসী লোকদের স্ত্রী-ভালবাসার অন্যতম নিদর্শন হিসেবে মহিলার স্বামীও তার বাবা-মায়ের পরিবর্তে স্ত্রীর (মহিলা) নামে তার অ্যাকাউন্টে সব টাকা পাঠাতেন।
আর ব্যাংক থেকে ঐ টাকা বেশির ভাগ সময় মহিলা নিজেই ওঠাতেন।
ব্যাংকে সবসময় যাওয়া-আসার ফলে মহিলার সাথে পরিচয় হয় ব্যাংকের ম্যানেজার, আমার বন্ধু নাবিলের সাথে।
পরিচয় থেকে ক্রমেই তাদের মাঝে বন্ধুত্ব, সম্পর্ক হতে থাকে। এত পর্যায়ে সম্পর্কটি প্রেমে রূপ নেয়। প্রেম অবশেষে ভালবাসায়!!
দিন চলে যায়, মহিলার স্বামী আসার সময় এসে যায়।
কি করা! শেষে মহিলা স্বামী আসার ক দিন মাত্র আগে ঘরে থেকে বের হয়ে যায় আমার বন্ধু নাবিলের হাত ধরে। সাথে নিয়ে আসে তার নামে পাঠানো সমুদয় সম্পদ, রেখে আসে শুধু সাবেক স্বামীর ভালবাসা আর নাড়ি ছেড়া ধন আদারের সন্তান দুইটি
সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে মহিলার প্রবাসী স্বামী নাকি একবার মহিলাকে নিতেও এসেছিলেন, কিন্তু ভালবাসার তরুন নব জীবন সঙ্গিকে রেখে না গিয়ে ভালবাসার স্মারক রচনা করলেন বন্ধু নাবিলের বউ আমার ভাবি সবশুনে বন্দুকে বুক চাপরে বল্লাম যা দিন-কাল পড়েছে, তাতে ওসব লীভটুগেদার টাইপের কিছুতো করোনি, বরং শরীয়ত সম্মতভাবেই বিয়ে করেছো এই জন্য তোমাকে অভিনন্দন।
২।
গ্রামে যে কয়টি পরিবারের সাথে সম্পর্ক রাখা এবং এর সদস্যদের সাথে মিশার অনুমতি ছিল আমাদের, আমার অন্যতম বন্ধু রাকিব সেসব পরিবারগুলোর মধ্যে একটি পরিবারে সদস্য। পরিবার নিয়ে দেশের বাহিরে থাকে।
আমি বাড়িতে এসেছি শুনে ছুটে এসেছে সে। তাকে নিয়ে গিয়ে বসলাম কাঁচারি ঘরে। তার সাথে একটি ফুটপুটে বাচ্চাও আছে। এতক্ষণ বন্ধুকে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় বাচ্চার দিকে খেয়াল করে ওঠতে পারিনি।
বাহ্ বাচ্চাটিতো বেশ চমৎকার।
কে রে ও? দোস্ত আমার বেশ উচ্ছ্বাসিত হয়েই বল্ল কেন, আমার মেয়ে! মাশাআল্লাহ, তোর বাচ্চা হয়েছে:-bd :-bd তোর বউ মা হয়েছে? আমার উচ্ছ্বাস দেখে হঠাৎ বন্ধু যেন লজ্জা ফেয়ে গেল নিশ্চয় এতক্ষনে তার বিয়ের দিনের ঘটনাটি মনে পড়ে গেছে...
বন্ধু যখন পড়া-লেখার উদ্দেশ্যে বিদেশ পাড়ি দেয়ার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত, তখন তার বাবা-মা ব্যাস্ত তার বিয়ে নিয়ে। এক রকম জোড় করেই তাকে বিয়ে করানো হল তারই খালাত বোনকে। খবর পেয়ে আমিও ছুটে গেলাম তার বিয়ের অনুষ্ঠানে। বন্ধুর বয়স আঠার আর যার সাথে তার বিয়ে হচ্ছে সে খালাত বোনের বয়স আনুমানি সাড়ে বার/তের। মোটামুটি ধুমদামের সাথেই বিয়ে হল।
নব বধু আর স্বামীকে বাসর ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে সবাই বসার ঘরে গল্প করছি। যেহেতু আন্ত:আত্মীয়ের বিয়ে, সেহেতু কনের মা-বাবাও বন্ধুদের বাড়িতে চলে এসেছে। আমরা গল্প করছি। এমন সময় ঘটল সে ঘটনা
বন্ধুর বউ রোমানা রুম থেকে বের হয়ে দৌড়ে তার মায়ের কোলে এসে মুখ লুকিয়ে বসে পড়ল! সবাইতো অবাক, তার মা বলল কি ব্যাপার মা, তোমাকে না বললাম আজ তোমার ভাইয়ার রুমে ঘুমাতে? না মা আমি ভাইয়ার রুমে শোব না। বাকিব ভাইয়া শুধু দুষ্টুমি করে, আমার গায়ে হাত দে, বলে কি..... আমরা যারা সেখানে উপস্থিত ছিলাম, তাদের সকলের অবস্থা কেরোসিন।
কেউ কারো দিকে তাকোনার সাহস নাই।
আমি সুযোগ বুঝে উঠে গেলাম বন্ধুর রুমে। তার অবস্থাও দেখার মত। বেশি কিছু আর বল্লাম না, শুধু বল্লাম বাচ্চা মানুষ এখনোতো সংসার কি জিনিস শিখেনি, আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে পরে সবাই অনেক বুঝিয়েও রোমানাকে সে রাতে রাকিবের রুমে নিতে ব্যার্থ হয়ে রাকিবের মায়ের রুমেই থাকতে দেয় রোমানাকে
....................আজ এত বছর পর রাকিবের সাথে তার মেয়েকে দেখে পুলোকিত হওয়ারইতো কথা। তবে তাকে বল্লাম, দোস্ত আর যাই কর মেয়েকে অন্তত নাবালিকা (১৮ বছরের আগে) অবস্থায় বিয়ে দিও না
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।