বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।
আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশের চার সিটি কর্পোরেশন ও নয় পৌরসভা নির্বাচন। ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তারপর দেশে এই প্রথম কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই নির্বাচন অনেক দিক দিয়েই দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথমতঃ ডিসেম্বরে প্রস্তাবিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এই স্থানীয় নির্বাচনের দিকে সবাই আগ্রহভরে তাকিয়ে আছে, কেমন হয় এবারের এই নির্বাচন, কারণ এই নির্বাচনের সামগ্রিক সাফল্যের উপরই নির্ভর করছে আগামী সংসদ নির্বাচনের ভবিষ্যত। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ডঃ এ. টি. এম. শামসুল হুদা আজ বলেছেন, এই স্থানীয় নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ আগামী সংসদ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল এক সংবাদ সন্মেলনে বলেছেন, এই স্থানীয় নির্বাচন বাংলাদেশে গণতন্ত্র উত্তরণের প্রথম পদক্ষেপ। সুতরাং বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের কর্তাব্যক্তিরা এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে, তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু এই নির্বাচনে ইতিমধ্যেই অনেক অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে।
প্রথমতঃ সরকারের পক্ষ থেকে এটিকে নির্দলীয় নির্বাচন বলা হলেও প্রতিদ্বন্দিতা করছে মূলতঃ রাজনৈতিক নেতারাই। অনেক এলাকায় জেলখাটা আসামীরাও নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে, এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা সত্যিই রহস্যজনক। কারণ, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কর্তাব্যক্তিরা মুখে অনেক ফেনা তুলে ফেলেছেন ইতিমধ্যে, আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে অমুক ব্যবস্থা, তমুক ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে তার কোন প্রতিফলন দেখা যাচ্ছেনা। আজ পত্রিকায় দেখলাম, কোন এক এলাকায় এক মৃত ব্যক্তির জানাযায় গিয়ে একজন মেয়র পদপ্রার্থী মানুষের কাছে দোয়া (!) চাইছেন।
বুঝে দেখুন অবস্থা !!!
দেখা যাক, এই নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে, ফলাফল দেখলেই বোঝা যাবে, কতটুকু সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন হয়েছে, সেই সাথে এটাও আমরা বুঝতে পরব সৎ ও যোগ্য প্রার্থী আদৌ নির্বাচিত হতে পারলেন কিনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।