চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা
বাগমারার লোকজন বাংলাভাইয়ের মৃত্যুতে যেমন উল্লসিত হয়ে উঠেছিল তেমনি উল্লসিত হয়ে উঠেছে ডা: টুটুলের মৃত্যু সংবাদে। এদুজনেই বাগমারার লোকজনের কাছে ছিল মুর্তিমান আতংকের মত। মজার ব্যপার বাংলাভাই কিছুটা জনপ্রিয়তা পেয়েছিল পুর্ব বাংলার সন্ত্রাসীদের দমন করে।
ডা: টুটুল এসেছিলনে সম্পন্ন পরিবার থেকে। মার্কস -লেলিনবাদে উদ্ভুদ্ধ হয়ে রাজশাহী মেডিকেলে পড়াশুনা অবস্থায় যোগ দেন পুর্ব বাংলা কমিউনিষ্ট পার্টিতে।
কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা নাস্তিক হয়ে থাকেন এবং ধর্মকে অগ্রাহ্য করা হয় পার্টির মুলনীতিতে। যার ফলে বলা যায় যে পিবিসিপির সব সদস্যরাই নাস্তিক।
ডা: টুটুলের নাস্তিকতার ব্যপারে নিশ্চিত হওয়া গেলেও এটা বলা কি ঠিক হবে যে বাংলা ভাই ধার্মিক ছিলেন। এই উপমহাদেশের কোটি কোটি হিন্দু এবং বৌদ্ধরা যে ইসলামে ধর্মে ধর্মান্তর ঘটিয়েছিলেন তার প্রতিনিধিতৃ নিশ্চয় বাংলা ভাই করে না।
অথচ এই বাংলা ভাইকে সামনে দাড় করিয়ে তথাকথিত প্রগতিশীলরা ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা আর ইসলামী রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করতে চায়।
কমিউনিষ্ট পার্টিও গলা মেলায় এদের সাথে। কিন্তু ডা: টুটুলেরা মানুষ হত্যা, লোটপাট চালালেও তাদের বিস্বাসের আকড় নাস্তিক্যবাদকে প্রশ্নবিদ্ধ করে না কেউ। কমিউনিস্ট পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যপারে কেউ কথা তুলে না।
একজন খোমেনী শাহকে যখন হঠিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখল করে তখন তাতে কিছু না কিছু জনসমর্থন থাকে কিন্তু জনসমর্থিত একটি ইসলামী দলকে নিষিদ্ধ করতে তুরস্কের তথাকথিত সেক্যুলাররা বৈধ? এবং অবৈধ (দুজন জেনারেলের সরকার উৎখাতের চেষ্টা) দুই উপায়ই গ্রহন করতে কার্পণ্য করেননা। জনগনের চাইতে সেক্যুলারিজিম বড় হয়ে উঠে।
পরিশেষে বলা যায় যে, একদল ডাকাত ছুরি চালিয়ে যেমন মানুষ মারতে পারে তেমনি সেই একই ছুরি দিয়ে একদল চিকিৎসক একজন মুমূর্ষ রোগীর প্রান বাচাতে পারে।
এই সহজ কথাটি বুঝতে চাইলে খুব একটা বিদ্দান হওয়া লাগে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।