আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দার্জিলিং ভ্রমনের একথা সেকথা.......কাঞ্চনজংঘা......



২ য় পর্ব ১ম পর্ব যাই হোক ১ম রাতে মনে একটু খচখচ নিয়েই শুতে গেলাম। এপাশ ওপাশ করছি কিন্তু আর ঘুমের দেশে যাইতে পারতেছি না। অনেক কষ্টে মনে হয় একটু ঘুমাইছি হটাৎ মনে হলো কে যেন ডাকতেছে অরুনাভ তুমি না কাঞ্চনজংঘা দেখতে এসেছ তবে ঘুমাইতেছ কেন? চোখ খুলে দেখি প্রায় ভোর হয় হয়। অন্ধকার এখনো কাটে নাই। জ্যাকেট টা গায়ে চাপায় রূম থেকে বের হয়ে দেখি লবি লক করা।

মেজাজ এক লাফে মাথায়। অনেক কষ্টে রাগ সামলায়ে আবার রূমে আসা। বসে ভাবছি কি করা যায় কি করা যায়। ঘরের পর্দা ভালো মতো সরায়ে জানালা খুলে দিলাম। ঠান্ডা বাতাসে এক ঝটকায় রূম ভর্তি।

জানালা দিয়ে দার্জিলিং দেখছি। আকাশ ধীরে ধীরে ফর্সা হতে শুরু করেছে। হটাৎ সামনে তাকিয়ে আমি অবাক। মনে হচ্ছে দূরে এক টুকরা স্বর্ন জ্বল জ্বল করছে। আমি অবাক হয়ে তাকায় আছি।

এবার দেখি স্বর্নের টুকরা টা একটু একটু করে বড় হচ্ছে। মনে হচ্ছে পুরা একটা লাইন জ্বল জ্বল করছে। মাথার মধ্যে শুধু একটা জিনিসই ঘুরপাক খাচ্ছে সুন্দর যে এত সুন্দর হতে পারে না দেখলে বুঝতে পারতাম না। কাঞ্চনজংঘা...কাঞ্চনজংঘা... চোখ ভরা বিস্ময় নিয়ে দেখছি। সূর্য্যের ১ম আলো কাঞ্চনজংঘার মাথার বরফের মুকুটে পরে ঠিকরে পরছে আলো চারদিকে।

সূর্য দেবের ঘুম যখন পুরা পুরি ভাংলো পুরা কাঞ্চনজংঘা সোনালী রং ঝলসায় উঠে আবার দুধ সাদা বরফের চূড়ায় ফিরে গেল। এই রং বদলের খেলাটা মনে হয় খুব বেশী হলে ৫/৭ মিনিট। খুব বেশী হলে ১০ মিনিট। কিন্তু এর যা সৌন্দর্য্য তা প্রকাশ করা আমার পক্ষে সম্ভব না। এই সমস্ত জিনিসরেই মনে হয় অপার্থিব সৌন্দর্য্য।

শুধু এটুকু বলতে পারি যেই এ দৃশ্য দেখেছে তার মন টাই খুশীতে ভরে উঠেছে। ( সমস্ত ছবিগুলি গুগল থেকে ধার করা ) কাঞ্চনজংঘা গানটা মৈথু মামা কেবলি আমাকে দিল......এড করে দিলাম। মামা তোমাকে অনেক ধইন্যাপাতা। কাঞ্চনজংঘা

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।