যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
গুজবে কান দিতে নেই। এসব বলেও গুজবের পিছনে দৌড়ানো আমাদের স্বভাব। একবার গুজব শুনলাম টাক মাথায় ম্যাগনেট থাকে বলে টেকো মানুষ হাইজ্যাক হওয়া শুরু হয়েছে। সৌভাগ্যক্রমে তখন আমার মাথায় চুল থাকায় বোধহয় হাইজ্যাক হই নি, কিন্তু আমাদের শহীদ স্যারকে সুযোগ পেলেই ম্যাগনেট ডাকতে ভুল হতো না। অবশ্য নিয়তির প্রতিশোধ কয়েক বছর পরে ঠিকই দেখলাম, যখন কেউ কেউ আমাকেও ম্যাগনেট বলে টিপ্পনী কাটতো।
এখন অবশ্য এই সন্বোধনটা ঐতিহাসিক হয়ে গেছে, তবে আশা করা যায় এই ব্লগের পরে আবার চলনটা শুরু হবে।
ঢোলকলমী নামে একটা গাছ দেখা যেত গ্রামে। সাধারণ বেঁড়া তৈরীর জন্য ক্ষেতের চারপাশে লাগনো হতো। একবার শুনলাম এই ঢোলকলমী গাছ থেকে এক ভয়াবহ ধরণের রোগ ছড়ায়। নিমিষে সব বেড়া গেল উধাও হয়ে।
ঢোলকলমীর নিধন উৎসবে আমিও হাত লাগিয়েছিলাম সজোরে।
বছর দশেক আগে বৃটিশ আমলের জমির পিলার নিয়ে এক গুজব বেশ চাউর হলো। এই পিলারের বৈশিষ্ট্য ভয়াবহ, বিশেষ প্রকারের এক খনিজ দিয়ে তৎকালে বৃটিশরা তৈরী করেছিল যা পরবর্তীতে আবিষ্কৃত হয়েছে দুস্প্রাপ্য ইউরেনিয়াম হিসাবে, পারমনবিক বোমা তৈরীর কাছে ব্যবহৃত হয়। গ্রামে গঞ্জে মানুষজন এই পিলারের খোঁজে হন্যে হয়ে ছুটতে শুরু করলো। কিছু দালাল আবার মোটা দামে সেগুলো জমির মালিকদের নিকট থেকে কিনেও নিল।
আমার এক পরিচিত ভদ্রমহিলা একবার একটা গল্প শোনালেন এই সময়ে।
শুনেছো কৌশিক, এই যে ডঃ ইউনুস এত টাকা বানালেন, ব্যাংক করলেন, কিভাবে জানো?
সোৎসাহে আমি জানতে চাইলাম, কিভাবে কিভাবে! জলদি বলেন!
ডঃ ইউনুস বাংলাদেশের সব জমির পিলার কিনে বিদেশে কোটি কোটি টাকায় বিক্রি করেছে। সেজন্যই তো এত টাকা হয়েছে!
শুনে তো আমি থ। অভিজাত সম্প্রদায়ের মধ্যে এমন গুজব শুনে আমিও কয়েকটা শুনিয়ে দিলাম। কিন্তু কে শোনে কার কথা।
তিনি শোনালেন আরো অভিনব এক খবর।
থান্ডারিং এ মৃত মানুষের হাড়ে নাকি জটিল এক রাসায়নিক তৈরি হয় যা পারমানবিক বোমা তৈরীতে কাজে লাগে। তিনি আমাকে প্রস্তাব করলেন, যদি এমন কোন মানুষের কবর খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে তাকে যেন জানাই। যত টাকা লাগে সে ঠাডায় মৃত মানুষের কংকাল কিনে নেবে।
পরে অবশ্য এই গুজব আরো নানান জায়গায় শুনেছি।
পত্রিকায় একবার দেখেওছিলাম কবর থেকে লাশ চুরি করে নিয়ে গেছে কে বা কাহারা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।