আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিহতের স্বজনেরা ন্যায় বিচার পাবে কি?



বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে উত্তেজনা নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশের সীমান্তে নিয়মিত টহল দিচ্ছে বিএসএফ জঙ্গীদল। এই সীমান্ত নিয়ে অনেক অভিযোগ। নিয়মিত অনুপ্রবেশ করছে বাংলাদেশের চোরাচালানিরা, তারা ভারতের রাজস্ব আয়ের পরিমান কমিয়ে দিচ্ছে। এই সীমান্ত রেখা দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ অগোচরে ঢুকে পড়ছে ভারতের অভ্যন্তরে, তবে অভিযোগগুলো আরও মারাত্মক হয়েছে বর্তমান সময়ে।

ভারতের নিরাপত্তা হুমকির কারণ বাংলাদেশের সাথে ভারতের সীমান্ত, এখান দিয়েই নাকি ভারতে সন্দেহভাজন জঙ্গীরা ঢুকছে, তারা ভারতের বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা করে জান ও মালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ভারতের বোমা হামলা কিংবা ছোটোখাটো বিভিন্ন নাশকতামূলক কাজে লিপ্ত জঙ্গী বাহিনীরা কেউই ভারতের নাগরিক নয়, এমনটাই ভারতের দাবি। তারা বহির্দেশীয় শত্রু, তাদের আক্রমন থেকে ভারতের নাগরিককে রক্ষা করতে হবে। ভারতের নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করতে চাওয়ার আগ্রহকে অসম্মান করবার কোনো কারণ নেই।

তারা যখন দাবি করে ভারতের আসাম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয় এইসব স্থানের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের নেতারা বাংলাদেশে আত্মগোপন করে আছে। এই অভিযোগ সত্য। একই রকম ভাবে বাংলাদেশের জঙ্গী এবং সন্ত্রাসীরাও ভারতে অবস্থান করছে কিংবা লুকিয়ে আছে। বাংলাদেশ পুলিশ এবং সীমান্ত রক্ষী বাহিনী তৎপর এ ব্যাপারে, তারা কোনো সন্দেহভাজন জঙ্গীদের আটক করলে তাদের ভারতের কাছে হস্তান্তর করে থাকে। আদর্শ প্রতিবেশীর মতো আচরণ করেও আসলে বাংলাদেশ তেমন সুবিধা পাচ্ছে না।

বিএসএফ এর তৎপরতার মাত্রা এত বেশী যে তারা বাংলাদেশের সীমান্তে অনুপ্রবেশ করছে। ভারতীয় চোরাচালিনীরা ভারতের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে সেটা মেনে নেওয়া যায় তবে একটা নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান যখন বাংলাদেশের সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে সেটা আন্তর্জাতিক বিধি লঙ্ঘন। বাংলাদেশ সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অনুপ্রবেশ এবং এর ফলে নিহত ৪ জন বিডিআর সদস্যদের মৃত্যুর বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে। তারা এই দুঃখজনক ঘটনার জন্য কঠোর কৈফিয়ত দাবি করে নি। তবে দীর্ঘ মেয়াদে এমন আধিপত্যবাদী একটা রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে বসবাস করলে সেই দেশের নাগরিকদের ভেতরেও একটা উচ্চমন্যতা সৃষ্টি হয়।

তারাও আচরণে আধিপত্যবাদী হয়ে উঠে। তারা অনায়াসে প্রশ্ন তুলে ১৯৭১ এ এই দেশকে মুক্ত করতে সহায়তা করে আমারা কি পেলাম? তারা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি। Click This Link বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত এবং এখানে কর্তব্যরত বিএসএফের সদস্যরা অপরাধ প্রবন। তারা গত ৩ বছরে অন্তত ১২ জনকে ধর্ষণ করেছে, মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেফতার করেছে, হেনেস্তা করেছে অসংখ্য পর্যটককে। তারা শিশু এবং বৃদ্ধ হত্যার সাথে জড়িত।

তাদের কেউ কেউ ক্বত অপরাধের জন্য সাজা পেয়েছে, কেউ কেউ এখন বিচারের কাঠগড়ায়। এইসব অনাচার এবং অত্যাচার মানবাধিকার সংস্থার গোচরীভুত, তবে কৃত অপরাধ এবং হেনেস্তার বিবরণ আরও অনেক বেশী। বলা যায় এই ঘটনাগুলো টিপ অফ দ্যা আইসবার্গ। আধিপত্যবাদী সভ্যতা মানুষ চিনে না। ভারতের কাছে কৈফিয়ত দাবী করবার মতো সাহস কি বাংলাদেশের আছে, পারস্পরিক সম্পর্ক আরও উন্নত এবং দৃঢ় করবার জন্য বাংলাদেশ এবং ভারতের ভেতরে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হচ্ছে।

সার্কের সদস্যদেশগুলোর ভেতরে জঙ্গীবাদ মোকাবেলার একটা চুক্তিও সম্পাদিত হওয়ার প্রহর গুনছে। এই অবস্থায় কি বাংলাদেশ ভারতীয় জঙ্গী বিএসএফএর সদস্যদের বিচার চাইতে পারে না?

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.