আমাদের দেশের ৯০% নারী গৃহস্থালী কাজে নিয়োজিত। এটাকে কর্মের মধ্যে স্বীকৃতি না দিয়ে নারীদের হেয় করা হয়। গৃহস্থালী কাজকে অবশ্যই অর্থনৈতিকভাবে বিবেচনা ও সম্মানের চোখে দেখতে হবে। আমাদের প্রচলিত চিন্তার মূলোৎপাটন করা জরুরী। যেমন-নারীরা শুধু গৃহস্থালী কাজ আর রান্না-বান্নার জন্য জন্মে এটা ভাবা ঠিক নয়।
জনসংখ্যাকে যদি জনশক্তি মনে করা হয় তবে বাংলাদেশের বিশাল অংকের নারীর এখনও এই শক্তির সংজ্ঞায় আসেনি। এটা আমাদের জাতীয় ও সামাজিক ব্যর্থতা। নারীদের উন্নয়নে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো জরুরী। সেটা হতে পারে ব্যক্তিগত, পারিবারিক বা জাতীয় অর্থাৎ সর্বক্ষেত্রে। বাংলাদেশে নারী-পুরুষের অনুপাত বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়- প্রতি একশ, নারীর অনুপাতে পুরুষের সংখ্যা ১০৪ জন।
বাংলাদেশ পুরুষ প্রধান পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ২.২০ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। অথচ পূর্বে তা ছিল মাত্র ২.৫২ মিলিয়ন। প্রথম বিবাহের গড় বয়স পর্যলোচনা করলে দেখা যায় ১৯৭৪ সালে মেয়েদের প্রথম বিবাহ হতো ১৫ বছর বয়সে এবং বর্তমানে তা হচ্ছে ২০ বছর বয়সে। আয়ুস্কালের ক্ষেত্রেও এই অগ্রগতি দেখা যায়- ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের নারীদের গড় আয়ুষ্কাল ছিল ৪৯.৭ বছর বর্তমানে তা ৬৭.৮০ বছর। সরকারি, বেসরকারি, অভ্যন্তরীন, বহিঃ, সামরিক সর্বক্ষেত্রে শ্রমশক্তি বেড়েছে।
কমেছে অকাল মৃত্যু হার। ১৯৯০ সালে অকাল মাতৃমৃত্যুর গড় ছিল ৪.৮ % তন্মধ্যে গ্রামে ৫% এবং শহরে ৪%। বর্তমানে তা নেমে এসেছে ৩.২%, তবে গ্রামে মাতৃমৃত্যুর হার আশানুরূপ কমেনি। এখনও তা ৩.৩% এবং শহরে মাত্র ২.৬%। সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণে দেখা যায় বাংলাদেশ নারী উন্নয়নে আন্তরিক এবং তা বাস্তবায়ন জরুরী।
প্রয়োজন সময় উপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।