আমি জবাব দিতে এসেছি, যারা জবাব চায়, তবে অবান্থর নয়।
আমি এইবার ছবিযুক্ত ভোটার তালিকার কার্যক্রমে তথ্য সংগ্রহের দায়ত্বে ছিলাম। তো বিচিত্র সব মজার এবং দুঃখের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। ধারাবাহিক তা লিখে যাব। তো বন্ধরা শুরু করি।
সকাল তখন ০৮:৩০ টা। আমার একটু তাড়া ছিল। এক বাসায় গেলাম। এক মহিলা এসে ভোটার হয়ে গেল। উনাকে জিজ্ঞেস করলাম বাসায় আর কেউ আছে কিনা।
উনি বললেন আরেকজন আছেন। কিন্তু উনি তো আপনার সামনে আসবেন না। কিন্তু আমাদের উপর কড়া নির্দেশ ছিল যেন ভোটারের অনুপস্থিতিতে ফরম পূরণ করা না হ্য়। আমি এটা বলার পর উনি আসলেন। ফরম পূরণ করে তিনি টিপসই দিলেন।
কারণ তিনি নিরক্ষর ছিলেন।
গোল বাধঁল অন্য জায়গায়। সনাক্তকারীর দস্তখত নিতে হবে, আমদেরকে এরকম বলা হয়েছিল। দ্বিতীয় মহিলার সনাক্তকারী প্রথম মহিলা দস্তখত করল। কিন্তু দ্বিতীয় মহিলার সনাক্তকারী কাউকে পাচ্ছিলাম না।
আমি উনাদেরকে অনুরোধ করলাম পাশের বাসার কাউকে হলে ও আনার জন্য। কিন্তু পাশের বাসার মহিলা নাকি এতই পর্দানশীল যে উনি আসবেন না। তিনি দরজার ভিতরে দাড়ালেন আমি অনেক বুঝানোর পরে অবশেষে বোরকা পরে, হিজাব পরে তিনি আসলেন। এবং দস্তখত দিয়ে চলে গেলেন। সময় ছিলনা তাই সেদিনের মতো চলে এলাম।
পরদিন সেই মহিলার বাসায় গিয়ে দেখি ভিন্ন চিত্র। তিনি আমার সামনে আসলেন। মাথায় কাপড় নেই । এমন উচ্চস্বরে কথা বলছেন কানপাটার অবস্থা। আমি মেলাতে পারছিলাম না।
পরে দেখি আরেকজন অবিবাহিত মহিলা আসল। উনার ও একই অবস্থা। মেয়েটি নাকি উনার বোন।
ইসলাম ধর্ম তো খুবই সহজ।
শালীনতার মধ্যে দিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় সবই করতে পারেন।
এ রকম ভাবে চলার কি দরকার।
নাকি বলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।