যা তুমি আগামিকাল করতে পার, তা কখনো আজ করতে গিয়ে ভজঘট পাকাবে না...
আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে পরিচয় ঘটানোর জন্য প্রাথমিক যে প্রামাণ্য দলিল আমরা হাতের কাছে পাই তা হলো মুক্তিযুদ্ধের ফটোগ্রাফ। হাজার গল্প বলেও যে অনুভূতি আপনি আজকের কিশোরের মনে তৈরি করতে পারবেন না, একটিমাত্র ফটোগ্রাফ তার পুরো কাজটি করে দেবে অনায়াসে। একটি শূন্য রাস্তা, এক বিধবার করুণ দৃষ্টি যে হাহাকার তৈরি করবে, আর কোনো দলিল কি তা করার ক্ষমতা রাখে?
সম্মুখ সমর নয়, বরং সাধারণ মানুষের মুক্তিযুদ্ধে সম্পৃক্ততা এবং এতে তাদের অংশগ্রহণ, ত্যাগ ও প্রাপ্তির বিষয়টি যে ফটোগ্রাফার ক্যামেরায় ধারণ করে আমাদের উপহার দিয়ে গেছেন তিনি কিশোর পারেখ। তিনি বাংলাদেশি নন, ইনডিয়ান।
কোনো অ্যাসাইনমেন্ট নয়, আর্থিক কোনো লাভ নয়, স্রেফ একটি যুদ্ধকে ইতিহাসের অংশ করে রাখার জন্যই কিশোর চলে আসেন যুদ্ধ আক্রান্ত এ দেশে।
দুঃখজনক অথচ সত্যি হলো জীবিত থাকতে কখনোই এ ফটোগ্রাফারকে আমরা কৃতজ্ঞতা জানাইনি, স্মরণ করিনি তিনি মারা যাওয়ার পরও। তাই মনে হচ্ছে এ ফটোগ্রাফার সম্পর্কে আমার কাছে যে তথ্য আছে, তা ব্লগে প্রকাশ করা যেতে পারে।
প্রচারবিমুখ এ ফটোগ্রাফারের বিষয়ে ইন্টারনেটে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া সম্ভব নয়। তাই তার সম্পর্কে তথ্য ও ফটোগ্রাফ বিষয়ক সাহায্যের জন্য আমি যোগাযোগ করি দৃক পিকচার লাইব্রেরির পরিচালক ড· শহিদুল আলম-এর সঙ্গে। ২০০০ সালে তিনি ছবিমেলা ১-এর অংশ হিসেবে ১৯৭১ : দি ওয়ার উই ফরগট শিরোনামে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেন যাতে ছিল দেশি-বিদেশি অনেক ফটোগ্রাফারের সঙ্গে কিশোর পারেখের তোলা বেশ কিছু ছবি।
ড· আলম আমাকে যোগাযোগ করিয়ে দেন কিশোর পারেখের ছেলে স্বপন পারেখ-এর সঙ্গে। স্বপন নিজেও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন ফটোগ্রাফার, ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটোতে বিচারক হিসেবে ছিলেন অন্তত তিন বার, বর্তমানে কাজ করছেন ব্ল্যাক স্টার ফটো এজেন্সিতে এবং থাকেন মুম্বাই-এ। এ লেখাগুলো (কিশোর পারেখ সম্পর্কে যে লেখাগুলো আপনারা চাইলে আগামিতে আসবে) তৈরিতে সবচেয়ে বড় কনট্রিবিউশন স্বপনের। পাশাপাশি আমাকে তথ্যগত সহায়তা দিয়েছেন বাংলাদেশি আরেক ফটোগ্রাফার হাসান সাইফুদ্দিন চন্দন। এ ছাড়াও সহায়তা নিয়েছি ইনডিয়ার ফটোগ্রাফি ম্যাগাজিন বেটার ফটোগ্রাফির।
উল্লিখিত সবাইকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।