.... তবুও আমি স্বপ্ন দেখি ... (স্বপ্ন, বাস্তব এবং ব্লগের সর্বস্বত্ব ব্লগার কতৃক সংরক্ষিত)
বাসা থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই শাহেদ বুঝতে পারলো সে একটা ভুল করে ফেলেছে। আগেই লক্ষ্য করেছিল আকাশ মেঘলা। তবে বৃষ্টি যে শুরু হতে পারে এখনই, সেটা ভাবেনি। প্রথম ফোটাটা হাতের পাতায় এসে পড়ার পর চিন্তা করলো ফিরে গিয়ে কি ছাতাটা নিয়ে আসবে? আবার ভাবলো, বাসস্ট্যান্ডতো এক মিনিটের পথ। দ্রুত পা চালালেই পৌছে যাওয়া যাবে।
শাহেদ যখন দৌড়ে বাসস্ট্যান্ডের কাছে আসলো, ওর চোখের সামনে দিয়ে ১৩০ রুটের নীল-হলুদ বাসটা হুস করে বের হয়ে গেল। প্রথমে একটু বোকার মত বাসের পেছনে তাকিয়ে ছিল। তার পর দ্রুত ভাবতে শুরু করলো কি করা যায়। আজ রবিবার। ঘনঘন বাস আসবে না।
পরবর্তি বাস হয়তো অরো আধ ঘন্টা পর আসবে। এদিকে দিনের আলোও কমে আসতে শুরু করেছে। ফোটাফোটা বৃষ্টি ধীরে ধীরে ঝাপটায় পরিনত হচ্ছে। এভাবে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার মানে হয় না। তবুও কেমন যেন একটা জেদ চেপে গিয়েছে ওর।
শাহেদ জানে বাসটা ঘুরে ঘুরে ক্যাস্টিলা ক্যাসেল এলাকার বিভিন্ন রাস্তা থেকে মানুষ নিয়ে তার পর ক্লনটার্ফের মূল রাস্তায় আসবে। ক্ষনিক চিন্তা করলো সে। এক দৌড়ে ভেরনন এভিনিউর রাস্তা ধরে যদি যাওয়া যায়, তাহলে হয়তো ক্ননটার্ফ রোডের সংযোগস্থলে বাসটাকে ধরা যেতেও পারে।
বৃষ্টির ঝাপটা তখন চশমার কাঁচের উপর এসে লাগছে শাহেদের। তবুও সে দৌড়াচ্ছে।
পাহাড়ী ঢালের রাস্তা। খানিকটা হাঁপিয়েও গিয়েছে। তবুও দৌড়াচ্ছে। দিনের আলো বেশ কমে এসেছে। দূরে মূল রাস্তার আলো দেখা যাচ্ছে।
মনে মনে শাহেদ খুশি হলো। প্রায় চলে এসেছে। আর মিনিট খানেক হয়তো লাগবে। কিন্তু ভাগ্য সেদিন বেচারার সাথে খেলা করে মজা পাচ্ছিল। বাসস্ট্যন্ডের ঠিক সামনে যখন সে পৌছালো, বাসটা আবার হুস করে চলে গেল চোখের সামনে দিয়ে।
হতাশ শাহেদ আরো একবার বাসের পেছনে তাকিয়ে রইলো।
এমন নয় যে এই স্ট্যান্ডে মানুষের ভীড় থাকে না। তবে আজকের এই রবিবারের ঝড়ো সন্ধায় কোন জনমানবের চিহ্নও দেখা গেলা না স্ট্যান্ডের আসেপাশে। আয়ারল্যান্ডের শীতের রাত রীতিমত ঝুপ করে নামে। তার উপর বৃষ্টি হচ্ছে।
শাহেদ ওভারকোটটা শরীরে চেপে ধরে বাসস্ট্যান্ডের সরু বেঞ্চে বসে অপেক্ষা করতে লাগলো পরবর্তি বাসের জন্য। ক্লনটার্ফের বড় রাস্তা দিয়ে দু'একটা গাড়ি হুস করে চলে যাচ্ছে। স্ট্যান্ডের উল্টো দিকে কয়েকটা বন্ধ দোকানের সামনে তখনও লাল-নীল আলো জ্বলছে। ওয়াইনের দোকানটার একটা খোলা সাটার যেন জানিয়ে দিচ্ছিল, "উই আর স্টিল ওপেন"। মাঝে মাঝে গাড়ি এসে থামছে, দ্রুত কেউ বের হচ্ছে, ওয়াইন নিচ্ছে, আবার চলে যাচ্ছে।
নগরের ব্যাস্ততায় যেন কবরের নিরবতা নেমে এসেছে।
বসে থাকতে থাকতে শাহেদের কেমন যেন একটু তন্দ্রার মত চলে এসেছিল। হঠাৎ টেনে টেনে হাটার একটা শব্দে চোখ খুলে তাকালো। এক বৃদ্ধ, বয়স সত্তরের কোঠা পার হয়েছে নিঃসন্দেহে, বৃষ্টি ভেঙ্গে হেটে আসছে। স্ট্যান্ডে ঢুকে প্রথমে বৃষ্টির চৌদ্দপুরুষকে উদ্ধার করলো, তার পর রেইনকোটের পানি ঝেড়ে শাহেদের পাশে বসলো।
শাহেদ আড় চোখে একবার বৃদ্ধকে পরখ করে নিল। আইরিশ বৃদ্ধদের স্বভাব হলো এরা দুই মিনিট পাশে বসলেই কথা বলতে শুরু করে। শাহেদের মেজাজ চরম খারাপ, কথা বলতে ইচ্ছে করছে না একদমই। মনে মনে ঈশ্বরের কাছে প্রর্থনা করলো এই উটকো ঝামেলা যেন এখন কথা বলা না শুরু করে।
দূর্ভাগ্য শাহেদের, প্রার্থনা গৃহীত হলো না।
বৃদ্ধ নিজে নিজেই কথা শুরু করলো,
- কি বাজে আবহাওয়া।
শাহেদের পক্ষ থেকে কোন জবাব না পেয়ে আবারও বলল,
- তাই না?
এবার সরাসরি শাহেদকে প্রশ্ন করা হয়েছে। জবাব না দেয়াটা দেখতে খারাপ দেখায়। তাই বলল,
- হুম।
বৃদ্ধ ছাড়ার পাত্র নয়।
বলে চলল,
- আগে শীতে স্নো পড়তো। আর এখন? বৃষ্টি হয়। সব বদলে যাচ্ছে।
বৃদ্ধের গলায় আবেগ আর ফেলে আসা দিনের স্মৃতিরোমান্থন। কি বলবে ভেবে পেল না শাহেদ।
তাই তাকিয়ে রইলো। বৃদ্ধ হেসে বলল,
- কোন দেশী তুমি?
- বাংলাদেশী।
দেশের নাম চিনতে পরলো কি না বোঝা গেল না। তাতে শাহেদের কিছু যায় আসে না। অস্থির বোধ করছে সে।
বাসটা আসলেই উঠে বসবে। এমনিতেই অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ত্রিশ মিনিট পার হয়েছে দশ মিনিট হয়ে গেল। কি ব্যাপার? বাসের আবার কি সমস্যা হলো?
বৃদ্ধ আবার বলল,
- এরকম বৃষ্টির রাতে কি বেড়াতে যাচ্ছ? নাকি নিতান্তই প্রয়োজন? আমার মত।
বলেই বৃদ্ধ হাসতে লাগলো।
অনিচ্ছাস্বত্ত্বেও শাহেদ বলল,
- ক্লনটার্ফের ড্রাকুলা মিউজিয়াম এবং ড্রাকুলা এক্সপেরিয়েন্স দেখতে যাচ্ছি।
বৃদ্ধ খিক খিক করে হেসে উঠলো। বলল,
- ড্রাকুলা এক্সপেরিয়েন্স? ওখানে আবার কেউ যায় নাকি? যত্তসব বাজে জায়গা।
শাহেদ তখনও চুপ। বৃদ্ধ বলে চলল,
- তুমি এসবে বিশ্বাস করো?
- নাহ।
- তাহলে যাচ্ছ কেন?
- ড্রাকুলা একটা কিংবদন্তী। তাই দেখতে যাচ্ছি।
- যাকে তুমি বিশ্বাসই কর না, তাকে দেখে কি লাভ। এক্সপেরিয়েন্স করে কি মজা পাবে?
- লাভের কিছু নাই। তবুও দেখা।
ভূত বলে কিছু নেই, এটা সবাই জানে। তবুও মানুষ ভুতের বই পড়ে, সিনেমা দেখে। কারন ভালো লাগে।
বৃদ্ধ আবার খিক খিক করে হেসে উঠলো। বলল,
- ড্রাকুলা আর ভূতকে তুমি এক করে দেখছো?
- আলাদা ভাবে দেখারতো কোন কারন নেই।
দুটোই কাল্পনিক।
বৃদ্ধ কিছু বলতে যাচ্ছিল, তখনই বাসের হেড লাইটের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠলো পুরো এলাকা। শাহেদ উঠে দাড়িয়ে হাতের ইশারায় বাসটাকে থামালো।
বাসের টিকেট ভ্যালিডেটরে যখন মাসিক টিকেট ঢোকাচ্ছিল শাহেদ, দেখলো বৃদ্ধ বাসে উঠে একটা আই.ডি কার্ড বের করে ড্রায়ভারের দিকে দেখালো। ড্রায়ভার ঠিক মত দেখলো কি না সেটাও সন্দেহ।
যদিও এমনটাই হয়। সত্তরের উপরে যাদের বয়স, তাদের জন্য বাস-ট্রেনে টিকেট লাগে না। আই.ডি কার্ড দেখালেই হয়ে যায়। বাস ড্রায়ভাররা সেটা দেখতেও যেন সংকোচবোধ করে। এই ফ্রি সার্ভিস আসলে একটা সম্মান।
নিজের জীবনের সুবর্ন দিনগুলোতে দেশের জন্য কতকিছু করেছে তারা। তাদের জন্য এই স্বল্প সেবাটুকু দিতে পেরে সরকার আনন্দিত। বাসের ড্রায়ভারদের যখন আই.ডি দেখানো হয়, তারা বিনয়ে নত হয়ে যায়, যেন "কি দরকার ছিল, আপনি স্বানন্দে আসন গ্রহন করুন। "
লোয়ার সেলুনে কেউ নেই। শাহেদ ভেবেছিল বৃদ্ধ হয়তো বসবে।
কিন্তু দেখা গেল এই বৃদ্ধের হাড়ে এখনও বেশ খানিকটা তেজ অবশিষ্ট রয়েছে। আপার সেলুনে গিয়ে বসেছে। শাহেদের কেমন যেন মজা লাগছিল। তাই সেও উপরে উঠে বৃদ্ধের পাশে বসলো।
প্রথম কয়েক মিনিট কেউ কথা বললো না।
তারপর বৃদ্ধ বলল,
- তাহলে তুমি ভূতে বিশ্বাস কর না?
শাহেদ হেসে ফেলল। বলল,
- নাহ।
- কেন?
- এ 'কেন'-র কোন উত্তর নেই। যা নেই তাতে বিশ্বাস করবো কেন?
- ভূত শব্দটা খুব হালকা শোনায়। বদলে দিচ্ছি, স্পিরিট, অর্থাৎ আত্মা? এবার বিশ্বাস করো?
শাহেদকে একটু এলোমেলো দেখালো।
তবে সাথে সাথেই গুছিয়ে উঠে বলল,
- অস্তিত্বে বিশ্বাস করি, উপস্থিতিতে না।
- অর্থাৎ তুমি বিশ্বাস করো তারা আছে, আবার নেই?
- ঠিক সেরকম না। তারা হয়তো আছে। কিন্তু আমাদের মত নয়। অন্তত দেখা দেয়া বা যোগাযোগের কোন প্রশ্নই আসে না।
সেটা অন্য কোন জগৎ, যেখানে বিজ্ঞান এখনও যেতে পারেনি।
- যেখানে বিজ্ঞান যেতে পেরেছে কেবল সেটাই সত্য? নিউটনের সময়তো আপেক্ষিকতত্ত্ব আবিষ্কার হয়নি। তাহলে কি আপেক্ষিকতত্ত্ব তখন মিথ্যে ছিল? কিম্বা অকার্যকর ছিল?
শাহেদ বেশ মজা পেতে শুরু করেছে তখন। বৃদ্ধ যুক্তি দিয়ে অযৌক্তিক বিষয়গুলোকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে। শাহেদ হেসে বলল,
- যদি তারা থেকে থাকে, তাহলে কেন সামনে আসে না?
- সামনে আসলে কি তুমি তাদের চিনতে পারবে? তারাতো তোমার আমারই মত মানুষ।
- তবুও, তাদের নিশ্চয় অতিপ্রাকৃত কোন ক্ষমতা থাকবে যা দ্বারা তারা নিজেদের স্বাতন্ত্র প্রকাশ করতে পারে।
- হয়তো আছে। কিন্তু কোন কারন ছাড়া সে ক্ষমতা দেখানোর প্রয়োজন কেন হবে? এতো তোমার ড্রাকুলা এক্সপেরিয়েন্স না যে পাঁচ ইউরো দিলে আর ড্রাকুলা নাচ দেখিয়ে দিল।
শাহেদ না হেসে পারলো না। বলল,
- কারনতো সৃষ্টি হয়েছে।
এই যে, আমি দেখতে চাই। পাঁচ ইউরো কেন, আরও বেশি দিতে রাজী আছি।
এবার বৃদ্ধ খিক খিক করে হেসে ফেললো। বলল,
- আমি ওদের দলভুক্ত হলে, তোমাকে ফ্রিতে অদৃশ্য হয়ে দেখাতাম। অন্তত তোমার বিশ্বাসের ভীতটা মজবুত করতে হলেও দেখাতাম।
শাহেদের কেমন যেন মায়া হলো। বলল,
- আপনাকে ওদের দলভুক্ত হতে হবে না। যুক্তি দিয়েই আপনি ভীত দৃড় করে ফেলতে পারবেন। আপনি সুন্দর করে যুক্তি দিয়ে কথা বলেন। সবার এ ক্ষমতা থাকে না।
তবে আমি দুঃখিত, আপনার এই বিষয়ে আমি একমত হতে পারছি না। ভূত বলে আসলে কিছু নেই, এবং আত্মা বলে যদি কিছু থেকেও থাকে, সেটা অন্তত আমাদের জগতে নেই।
বৃদ্ধ কিছু বলতে যাচ্ছিল, এমন সময় অদূরে ড্রাকুলা মিউজিয়ামের লাল-নীল আলোর গেটটা দেখা গেল। কথা বলতে বেশ ভালোই লাগছিল। কিন্তু স্টপেজ এসে পড়েছে, নামতে হবে।
তাই অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও শাহেদ উঠে দাড়ালো। বৃদ্ধ মুচকি হেসে বলল, "তোমার আত্মা দর্শন শুভহোক। " শাহেদ সংশোধন করে দিল, "আত্মা নয়। ড্রাকুলা, ড্রাকুলা এক্সপেরিয়েন্স। "
বৃদ্ধ তখনও হাসছিল।
বৃদ্ধের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিচে নেমে এসে বাসের দরজার কাছে দাড়ালো শাহেদ। সিগনালে দাড়িয়ে আছে বাসটা, সবুজ হলেই স্ট্যান্ডের সামনে গিয়ে দাড়াবে। হঠাৎ ড্রায়ভারের সামনে রাখা ছোট স্ক্রিনে যেটায় আপার সেলুনের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার চিত্র দেখা যাচ্ছে, ওখানে শাহেদের চোখ পড়লো। পুরো সেলুন খালি। প্রথমে বোঝার চেষ্টা করলো ব্যাপারটা।
বৃদ্ধ কি তবে নিচে নেমে এসেছে? পেছনে ঘুরে তাকিয়ে দেখলো লোয়ার সেলুন খালি। এক দৌড়ে উপরে উঠে আসলো সে। কোন জনমানবের চিহ্ন নেই সেখানেও। আবার দৌড়ে নিচে নেমে আসলো। লোয়ার সেলুন আগের মতই ফাকা।
শাহেদকে এভাবে উপর-নিচ করতে দেখে ড্রায়ভার কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে। শাহেদ হাঁপাতে হাঁপাতে বলল, "আপার সেলুনের বৃদ্ধ কোথায় গেল?" ড্রায়ভার অবাক হয়ে বলল, "কোন বৃদ্ধ? বাসেতো তুমি একাই ছিলে। " শাহেদ চরম বিস্ময় নিয়ে বলল, "আমার সাথে যে বৃদ্ধ উঠেছিল ভেরনন এভিনিউ থেকে। ” এবার ড্রায়ভার বিরক্ত হয়ে বলল, “তুমি একাই উঠেছিলে। তোমার সাথে কেউ উঠে নাই।
" শাহেদের মনে পড়লো আই.ডি. কার্ড দেখানোর কথা। ড্রায়ভারকে বলার পর সে যেন আকাশ থেকে পড়লো। “কখন আই.ডি. কার্ড দেখালো? আজতো আই.ডি. পার্মিটে কোন বৃদ্ধই আমার বাসে উঠেনি। ”
আবারও কিছু জিজ্ঞেস করতে যাচ্ছিল শাহেদ কিন্তু ড্রায়ভার ওকে থামিয়ে দিয়ে বলল, “তুমি মনে হয় একটু বেশি টেনে ফেলেছো। সাবধানে যেও।
” তার পরই হুস করে বাসের দরজাটা খুলে দিল।
শাহেদ যখন বাস থেকে নামলো, কেমন যেন একটা ঘোরের মধ্যে ছিল তখনও। সামনে লাল-কালো রঙে বড় বড় করে লেখা The Bram Stoker Dracula Experience আর কানে বেজে চলেছে তখনও বৃদ্ধের বলা শেষ কথাটা - "তোমার আত্মা দর্শন শুভহোক। "
১৭ জুন ২০০৮
ডাবলিন, আয়ারল্যান্ড
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।