আমরা যদি না জাগি মা, কেমনে সকাল হবে...
রাজশাহীর এক অচেনা ছাত্রের জন্য দূরের এক ব্লগার চুপিচুপি ১০০ ডলার দিয়ে ব্লগের কোণায় গিয়ে বসে থাকছে। আত্মপ্রচারে সে নেই, ফটোসেশনে তার মুখ নেই, একটুকু বাগাড়ম্বরেও সে নেই। এমনই তো হওয়া উচিত!
পরশু আমরা দেখলাম, ঢাকা পাবলিক লাইব্রেরিতে ৩০-৪০ জন মিলে প্রচুর বাগাড়ম্বর করে ৯ হাজার টাকা তুলেছেন একজন অসহায় ছাত্রের চিকিৎসা-সহায়তায়। প্রীতিভোজ, ফটোসেশন, হাস্যরসে রীতিমতো এক আনন্দ-আয়োজনে রূপ নেওয়া ব্লগার-আড্ডার বিপরীতে সামান্য এ অংক যে কাউকে বিস্মিত করতেই পারে। গত রাত ১১টা থেকে ব্লগে আসা এ সম্পর্কিত পোস্টগুলোতে নজর বুলালে দেখতে পাই, একজন শাশ্বত কোথাও মূখ্য বিষয় নয়।
চুটকি-কবিতা, ফটোসেশন আর আনন্দ-আড্ডাই যেন মূল বিষয়। এসব দেখে যে কেউ আহত হতেই পারেন। উপযাচক হয়ে কেউ ভুলটা ধরিয়েও দিতে পারেন। আমার মনে হয়েছে, আমাদের সহ-ব্লগার নীল-লোহিত সেই কাজটিই করেছেন গতকাল। আরো কেউ কেউ তার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন, অনেকেই জানিয়েছেন দ্বিমত।
সবিস্ময়ে আজ দেখলাম, নীল-লোহিতের পুরো ব্লগটাই বাতিল হয়েছে। কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা আমি বা আমরা রাখি না।
তবে দৈবাৎ সেই ক্ষমতা যদি থাকতো আমার, তাহলে আমি বলতাম- নীল-লোহিতের নিকের পিছনে যে মানুষটি আছেন, তার জন্য হয়তো আমার কোনো করুণা নেই। কিন্তু তার কন্ঠস্বর, তার মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করে দেওয়ায় আমি আহত। শ্রেফ মতামত প্রকাশের দায়ে তার পুরো ব্লগটাই বাতিল করে দেওয়ায় আমি ক্ষুব্ধও।
তার মতের সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করতে পারি, কিন্তু তাকে বাতিল করে দেওয়াটা আমি সমর্থন করতে পারি না। যেখানে এমনকি এস্কিমোকে করা চরম অশ্লীল মন্তব্যের পরও আরেকজনের ব্লগ অক্ষত রয়ে যায়!
ঠিকাছে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।