গলাবাজ আর সত্যিকারের লেখক এই ব্লগে টিকে থাকে, আমি কোনটাই না
আজ কোরিয়াতে পালিত হচ্ছে মেমোরিয়াল ডে। ১৯৫০-১৯৫৩ সালে আমেরিকান অনেক সৈনিক দক্ষিণ কোরিয়ার হয়ে উত্তর কোরিয়ার সাথে যুদ্ধ করতে যেয়ে প্রাণ হারায়। তাদেরই স্বরণে এই সরকারী ছুটি। দুপুরে জুমমা নামায পড়ে চিন্তা করলাম কোথায় যাওয়া যায়। নেট এ খুজে বের করলাম সিউল ফরেস্ট, শহরের মাঝে হান নদীর তীর ঘেসে এক বন।
আমি যেখানে থাকি সিউল ফরেস্ট ওখান থেকে সাবওয়েতে আধাঘন্টার পথ, স্টেশন থেকে বের হয়ে প্রায় ১৫ মিনিট হেটে পৌঁছালাম মূল জায়গায়। ফরেস্ট শব্দটা বলতে আমাদের মনে যেরকম ছবি ভাসে এটা মোটেও সেরকম কিছু না। শহরের ইট সুরকি থেকে একটু নিস্তার পাওয়ার চেস্টায় তৈরী করা হয়েছে এই এলাকা। বড় মাপের পার্ক বলা যেতে পারে এটাকে।
ঢুকেই একটা ক্যাকটাস হাউস, সাথে ইনসেক্ট গার্ডেন, কিন্তু কপাল খারাপ, ওটা বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
তাই বাইরে থেকেই দেখতে হলো কোনরকমে। একটু সামনে হেটে একটা টানেল চলে গেছে সোজা নদীর পাড়ে। সাইকেল রেন্ট আছে কেউ চাইলেই পুরো বনে ঘুরে বেড়াতে পারে। ঠিক মাঝখানে একটা বিশাল তার ঘেরা জায়গায় চরে বেড়াচ্ছে অসংখ্য হরিণ। সেই ঘেরা জায়গায় আছে লেক, অনেক নাম না জানা গাছ আর বুনো ফুল।
পুরো ঘেরাটুকুর উপর ব্রিজ করা আছে উপর থেকে হরিণ দেখার জন্য। আজ সারাদিন মেঘলা, সাথে হালকা কুয়াশাও, তাই শেষ বিকালেই রওনা দেই ওখান থেকে।
গাছের গোড়ায় মেটালের কারুকাজ
ফুটপাতে খাই দাই (খালাম্মা কোনভাবেই তার ছবি তুলতে দেবেনা, মেকআপ ছিলোনা তাই)
বনের মাঝে প্রাণের ছোঁয়া
হান নদীর একাংশ
এক পাল হরিণ
সেদিন দুজনে বসে ছিনু বনে...
ঘোড়াগুলো ছুটেই চলেছে
ফেরার পথে এক্সপেরিমেন্ট চালালাম রাতের সিউল নিয়ে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।