বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d
শাশ্বত একটি নাম। কারো সন্তান, কোন এক বোনের আদরের ভাই, কোন বন্ধুর এক প্রিয় বন্ধু আবার হয়ত কারো চোখের সপ্ন। সবার উপরে একটি সত্য সেটা হলো সে একজন মানুষ। ভুপেন হাজারিকার কালজয়ী গানের কলিই বলে,
"মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারে না।
"
আমরা সবাই কম বেশী শাশ্বত সম্মন্ধে জানি। এই কয়েকদিনে তাকে নিয়ে বেশ কয়েকটি লেখা হয়েছে। সে আজ পুঙ্গত্বে নিমজ্জিত। এটা কোন সাধারন পুঙ্গত্ব নয়। এই রোগের নাম এ্যানকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস।
শাশ্বতের শরীরের মধ্যে এক প্রকার এন্টিবডি তৈরী হয়ে ধীরে ধীরে পুঙ্গ করে দিচ্ছে শাশ্বতর দেহটাকে। হাড়ের প্রতিটি জয়েন্ট থেকে শুকিয়ে যাচ্ছে জেল। যার ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে একটি হাড় থেকে আরেকটি হাড়। একবার চোখ বন্ধ করে চিন্তা করে দেখুন তো? শিহরিয়ে উঠতে হয়।
শাশ্বত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একজন অতি মেধাবী ছাত্র।
দরিদ্র শিক্ষক বাবার পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না শাশ্বতর চিকিৎসা ব্যায় বহন করতে। তাই বলে কি শাশ্বতর পড়ালেখা এখানেই শেষ হয়ে যাবে? তাই বলে কি শাশ্বতর জীবনে চাকা এখানেই থেমে যাবে? আপনারাই বলুন এ প্রশ্নের জবার কি? কি দেবেন এর উত্তর?
না, শাশ্বত বেঁচেও থাকবে, চলবে ওর পড়ালেখাও। একদিন মানুষের মত মানুষ হবে। দেশের এবং বাবা মায়ের মুখ উজ্জল করবে। অবশ্যই তাই হবে।
হতেই হবে। কারণ ওর প্রতি রয়েছে হাজারও লাখ মানুষের ভালবাসা। রয়েছে সবার বুকের অন্তঃস্থল হতে নিংড়ানো ভালবাসা।
হয়ত এই শাশ্বতই সুস্থ্য হয়ে তার কর্মক্ষেত্রে উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। হয়ত তার কলমের খোঁচায় প্রকাশ পাবে মানব মুক্তির কথা।
এই শাশ্বতই হয়ত জন্ম দিবে হাজারও সফল শাশ্বত। এসব সবই বাস্তব হতে পারে, যদি আমরা আমাদের বন্ধুত্বের হাতটুকু একটু প্রসারিত করি শাশ্বতর দিকে। বিপদে তো বন্ধুই এগিয়ে আসে। আর সেই বন্ধুই তো প্রকৃত বন্ধু তাইনা? একবার কোন এক নিশ্চুপ সময়ে ভাবুন তো, আপনার চোখের সামনে শাশ্বত ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে মৃত্যুর দিকে। কি পারবেন? এই দৃশ্যটা সহ্য করতে? পারবেন না।
মানুষ হয়ে মানুষের নিঃশেষ হযে যাওয়ার দৃশ্য চোখে দেখা যায় না আর সহ্যও করা যায় না।
আসুন আমরা সবাই এগিয়ে আসি। আমরা কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক গিয়ে শাশ্বতর পাশে দাঁড়াই। ওকে সাহস দেই। ওকে বলি,
"শাশ্বত তোমাকে বাঁচতে হবেই।
আমরা আছি। "
একটা ফাউন্ডেশন করার ইচ্ছা আমাদের বেশ কিছুদিন যাবত ছিল যা প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব এর পোষ্টে জানতে পারবেন। আমি খুব সংক্ষেপে এখানে বলছি (নীচের কিছু অংশ "প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব" এর পোষ্ট থেকে নেয়া, ধন্যবাদ তাকে):
ঢাকা থেকে আপনার যারা শাশ্বতর প্রতি সাহায্যের হাত প্রসারিত করতে চান তারা নিম্নোক্ত ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা কেউ আমাদের সাথে যোগ দিতে চাইলেও সেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিতে পারেন।
মিলটন : +৮৮০১৭১৩৩৬১৭৮৬, +৮৮০১৬৭৮[MILTON]৬৪৫৮৬৬
(মিরপুর, তেঁজগাও শি/এ, নিকেতন)
নেমেসিস : +৮৮০১৭২০৩৮৬৫৬৬ (মিরপুর)
ক্যামেরাম্যান : +৮৮০১৯১২০৪৩৫৩০ (উত্তরা)
কালপুরুষ দা : +৮৮০১৭১১৮১৩৩২৬ (বনানী+গুলশান)
প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব : +৮৮০১৭১৩০৪৫৪৯১ (শ্যামলী+ধানমন্ডি)
মেজবাহ য়াযাদ: ++৮৮০১৭১৩০৯১৯৭১
এছাড়াও ঢাকার বাহিরে যদি কেউ দায়িত্ব নিতে চান তবে জানাতে পারেন এবং বিদেশ থেকে আমাদের যেসব বন্ধুরা সাহায্য করতে চান তারা কিভাবে টাকা পাঠাবেন তা "প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব" এর পোষ্টে জানতে পারবেন।
প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব এর পোষ্টের লিংক
Click This Link
বি:দ্র: প্রয়োজনে পোষ্টটি এডিট করা হতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।