আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দ্বিমত (প্রবন্ধ! মনে হচ্ছে)

ইমরোজ

এই বয়সে এই অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রবন্ধ লেখাটা আমার জন্য নিছক পাগলামোই মনে হয়। প্রবন্ধ লিখতে হলে যে পরিমাণ জ্ঞান থাকা প্রয়োজন তার ছিটেফোটাও আমার নেই বলেই আমি মনে করি। ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দে মহানবী(স.) এর জন্ম যখন হলো, তখন আরবের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে সেটা কল্পনার বাইরে। এমন অবস্থায় একজন ধর্মাবতারের আগমন ঘটবে এটাই স্বাভাবিক। বস্তুত পৃথিবীর ইতিহাস আমাদেরকে তাই বলে।

কিন্তু মহানবী(স.) এর আগমনের সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই। জীবনের চল্লিশ বছর পর্যন্ত মহানবী(স.) যে চর্চা করেছিলেন তা অনবদ্য এবং অনন্য সাধারণ। তাঁর মধ্যে যে ধৈর্যশীলতা ছিল তা অতুলনীয়। প্রশংসা নয় বরং এবার আসা যাক একটা গভীর বিষয়ে। গৌতম বুদ্ধের কথা বলি।

ধর্ম প্রচার করার আগে তিনি ধ্যান করে বধি প্রাপ্ত হয়েছিলেন। ব্যাপারটা মহানবী(স.) এর সাথে মিলে যায়। বিধাতা, অথবা সৃষ্টিকর্তা যদি থেকেই থাকেন তিনি আমাদের সাথে কখনই সরাসরি যোগাযোগ করেননি। তিনি করেছেন কিছু মানুষ দিয়ে। যারা অবশ্যই পবিত্র ছিলেন এবং কোন না কোন ভাবে ধ্যান দ্বারা নিজেদেরকে যোগ্য করে তুলেছিলেন।

এরপরেই তাদের কাছে আসতে থাকে বাণী। আমার কথাটা অন্যখানে। বিধাতা বা সৃষ্টিকর্তার কাছে পবিত্রতার মাপ কাঠি কী? আমরা যেটাকে পবিত্রতা বলে থাকি, বা আমাদের ধ্যান ধারণায় পবিত্রতা আসলে কোন অর্থটা বহন করে? একজন মানুষের ক্ষেত্রে কোন কাজটি করলে আর কোন কাজটি না করলে তাকে পবিত্র বলা চলে। বহুদিন ধরে সমাজের বিবর্তনে যা চলে এসেছে, সেটা দিয়ে কী আদৌ বিধাতার সাথে আমাদের সম্পর্ক স্থাপন সম্ভব? যীশু খ্রীষ্টের কাছে পবিত্রতার একরকম সংজ্ঞা পাই। বুদ্ধের কাছ থেকে অন্যরকম, মূসা (আ.) এর কাছে অন্যরকম।

কেন? এই পবত্রতার মধ্যে কেমন একটা গরমিল হয়ে গেল না? এখানে ইথিকসের কথা আলাদা। আমি যে জিনিসটা বলতে চাইছি সেটা কষ্ট করে বুঝে নেবেন। মহানবী (স.) এর সাথে যীশুকে, মূসা আনলাম, সাথে সাথে বুদ্ধকেও টেনে কথা বলাটা অনেকেই পছন্দ করছেন না হয়তো। কিন্তু সকলের মর্যাদা সমান নয়কি? সকলেই তেমনি পরিশুদ্ধ মানব। এখানে দ্বিমত পোষণকারীদের জন্য আমার এ লেখাটি নয়।

ইসলামকে শ্রেষ্ঠ ধর্ম বলুন আর যে ধর্মকেই বলুন। ধর্ম একটা কাজ করে গেছে বটে। পৃথিবীর কোন পরিবারে এমন কাউকে রাখেনি যে কোন ধর্মের অনুসারী নয়। নাস্তিক যারা তা অতিশয় নাস্তিক হলেও পরিবারের প্রয়োজনে আস্তিক তাদের ঠিকই হতে হচ্ছে। সুতরাং ধর্মের কাজ ধর্ম করেই যাচ্ছে।

এবং করতে থাকবে। এর কর্ম উদ্দেশ্য অনুসন্ধান আমাদের কাজ নয়। এর মূলনীতিগুলো নিজেদের মধ্যে চর্চা করাই আমাদের কর্তব্য। কারণ মানুষ যখন একা হয়ে যায়, যে একটি মাত্র জিনিস ধরে সে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে সেটা হচ্ছে যার যার ধর্ম।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.