প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৩ শতাংশের কম হবে না দাবি করে তিনি বলেছেন, “বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফ সব সময়ই কনজাররভেটিভ প্রোজেকশন করে। আমি ওটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। ”
সোমবার সচিবালয়ে রাষ্ট্রায়াত্ত বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি প্রবৃদ্ধির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা বলেন।
প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বাজেটে ৭ দশমিক ২ শতাংশ ধরা হলেও বিশ্ব ব্যাংক বলেছে, তা হবে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ।
মুহিত বলেন, “যত কিছুই ভয়-ভীতি থাকুক না কেন, চূড়ান্ত বিচারে আমাদের প্রথম ছয় মাসে বেশ ভালোই হয়েছে।
প্রবৃদ্ধি ভালো হয়েছে, রপ্তানি বেড়েছে, রেমিট্যান্স ভালো, রিজার্ভ বেড়েছে। ”
আমদানি ‘একটু বেশি’ কমলেও তাতে সার্বিক অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেনি দাবি করে তিনি বলেন, “সেই কারণে গত ছয় মাসের পারফরমেন্স নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি। ”
তবে ৭ দশমিন ২ শতাংশ ধরা হলেও চলতি বাজেটের আকারের সঙ্গে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাও সংশোধন করা হবে জানান অর্থমন্ত্রী।
“তবে আমরা বাজেট রিভিশন করছি। তার কারণ, গত বছরের (২০১২-২০১৩) অর্জন যতটা হয়েছে তার চেয়ে আমাদের আকাঙ্ক্ষা (এক্সপেকটেশনস) একটু বেশি ছিল।
”
গত বছরের সংশোধিত বাজেট ১ লাখ ৭৯ হাজার কোটি টাকা হবে বলে মুহিতের হিসাবে থাকলেও তা হয়েছিল ১ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা।
“বাজেট সংশোধন হচ্ছে, প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাও পরিবর্তন হচ্ছে। আমি আশা করি, এটা (প্রবৃদ্ধি) ৬ দশমিক ৩ শতাংশের কম হবে না। ”
গত পাঁচ বছরে গড় প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ২ শতাংশ, যা বিশ্বের অন্যতম সেরা পারফরমেন্স বলে দাবি করেন মুহিত।
File Photo
প্রবৃদ্ধির এই ধারাবাহিকতা অর্থনীতির একটা শক্তি উল্লেখ করে মুহিত বলেন, “এই শক্তি ওপর ভর করেই আমাদের অর্থনীতিটা অন্য একটা মার্গে পৌঁছে গেছে। এটাকে এখন পেছনে টানার জন্য দৈত্যের প্রয়োজন।
“সেটা বাংলাদেশে হবে না বলে আমি বিশ্বাস করি। সুতরাং আমাদের সামনে একটা বড় ধরনের সুযোগ রয়েছে। ”
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আগামী পাঁচ বছরে আমরা এমন একটা অবস্থায় পৌঁছতে চাই, যেখানে এদেশের উন্নয়ন কোনোমতেই রুদ্ধ করা যাবে না এবং এটা মধ্য আয়ের দেশ পরিণত হবেই হবে।
“এ ব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত কোনো রকমের সন্দেহ নেই। ”
বিশ্ব ব্যাংক ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বললেও আইএমএফ বলেছে, প্রবৃদ্ধি হবে আরো কম ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ১৯৯৫-৯৬ বছরকে ভিত্তিবছর ধরে যে তথ্য প্রকাশ করেছিল, তাতে তাতে বলা হয়েছিল, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
পরে ২০০৫-০৬ বছরকে ভিত্তি ধরে বিবিএস বলে, গত অর্থবছরে ৬ দশমিক ১৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
২০১২-১৩ অর্থবছরের জিডিপির চূড়ান্ত তথ্য এখনো প্রকাশ করেনি বিবিএস।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।