আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি বিষয়ে জাতীয় ঐক্যমত আছে, কারও কোন দ্বিমত দেখলাম না

কানাকে কানা, খোঁড়াকে খোঁড়া বলিও না, ইহাতে উহারা কষ্ট পায়

যাক, হাজারো অনৈক্য আর বহুমতের মধ্যে বরাবর শুধু এই একটি বিষয়ে জাতীয় ঐক্যমত্ আছে, কারও কোন দ্বিমত দেখলাম না। কি সরকারী দল কি বিরোধী দল। কারও কোন আপত্তি নেই এতে। প্রকাশিত খবরে জানা গেছে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সর্বস্তরের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যসহ সাংবিধানিক সব কর্মকর্তার বেতন-ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বিলটি সংসদের চলতি অধিবেশনে উত্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।

আজ প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। এরআগে গত জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে সংসদ সচিবালয় এ সংক্রান্ত প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। জানা গেছে, আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত বেতন কাঠামোতে সংসদ সদস্যদের সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সামগ্রিকভাবে শতকরা ৮৩ ভাগ বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে। এতে দেখা যায়, সদস্য মাসিক ১৫ হাজার টাকার সম্মানীর স্থলে পাবেন ২৮ হাজার টাকা। এছাড়া নির্বাচনী এলাকার খরচ, টেলিফোন বিল, ভ্রমণ ও চিকিৎসা ভাতাসহ অন্যান্য সব ক্ষেত্রে প্রাপ্ত সুবিধাও বাড়ানো হয়েছে।

সব মিলিয়ে একজন সংসদ সদস্য এখন পাবেন মোট ৬০ হাজার টাকা। যা আগে ছিল ৪০ হাজার টাকা। গাড়ি মেরামত বাবদ অতিরিক্ত আরো ৪০ হাজার টাকা দেয়া হবে। এদিকে রাষ্ট্রপতির মূল বেতন ৩৩ হাজার ৪শ’ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬১ হাজার ২শ’ টাকা এবং প্রধানমন্ত্রীর মূল বেতন ৩২ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫৮ হাজার ৫শ’ টাকা করা হয়েছে। একজন মন্ত্রী পাবেন ২৯ হাজার স্থলে ৫৩ হাজার ৭০ টাকা, প্রতিমন্ত্রী ৪৭ হাজার এবং উপ-মন্ত্রী ৪৫ হাজার ২শ’ টাকা।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় সংসদ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে স্পিকারের ৩১ হাজার ২শ’ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৭ হাজার, ডেপুটি স্পিকার, সংসদ উপনেতা ও চিফ হুইপের ২৯ হাজার থেকে ৫৩ হাজার এবং হুইপের ২৬ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৪৯ হাজার ৪১০ টাকা বেতন ধার্য করা হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে মন্ত্রী, এমপিদের বাজার করার পয়সা না থাকায় হয়তো এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। একটি ব্যবস্থা নিলে কেমন হয়! রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে মন্ত্রী এমপিদের জীবণ ধারণের জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যাতে তাদের টাকা পয়সার কোন অভাব না থাকে। অথবা তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য কোন অপ্রতুলতা থাকে, রাষ্ট্রই তাদের সকল খরচ বহন করবে। তাহলে তারা সংসদে বসে চাউল ডাউল কেনার দুশ্চিন্তা হতে মুক্তি পাবেন এবং জাতির কথা ভালভাবে চিন্তা করতে এবং সঠিক পরিকল্পনা নিতে পারবেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.