যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের নেত্রীকে সংলাপের তাগিদ দিয়ে চিঠি লেখার পর বিএনপির পক্ষ থেকে এই বক্তব্য এলো।
সোমবার সকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “বাংলাদেশের নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কেবল দেশের জনগণই নয়, সব গণতান্ত্রিক দেশের নেতৃবৃন্দও উদ্বেগে আছেন। তারা চান সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান হোক। ”
বিএনপির অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “আমরা সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা চাই। নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে- এ বিষয়টি সরকার মেনে নিলেই সংলাপ হতে পারে।
”
সকালে শেরে বাংলানগরে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেতাকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির চিঠি পৌঁছে দেন।
ওই চিঠির বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে দেশে যে রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
“আর কালক্ষেপণ না করে সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সমঝোতায় পৌঁছানো জরুরি বলে উল্লেখ করেছেন জন কেরি। ”
অবশ্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কেরির চিঠির বিষয়ে এখনো কিছু বলা হয়নি।
বিরোধী দল দেশে ‘গণ্ডগোল সৃষ্টির পাঁয়তারা’ করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে মির্জা ফখরুল সাংবাকিদের বলেন, “এটা ঠিক নয়। আমরা সচেতনভাবে এমন কর্মসূচি দিচ্ছি, যাতে দেশে কোনো অস্থিরতা সৃষ্টি না হয়। ”
‘রাজনৈতিক মতভেদ দূর করার সময় এখনো আছে’ মন্তব্য করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, “সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। তারা সংকট সমাধানে উদ্যোগ নেবে। ”
বিরোধী দলকে উস্কে দেয়ার জন্য সরকার নানা ধরনের কথা বলছে বলেও মন্তব্য ফখরুলের।
“সরকারের একগুয়েমির কারণে দেশে নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে ৯৯ ভাগ মানুষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। ”
এর আগে মহিলা দলের সভাপতি নুরী আরা সাফা ও সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানার নেতৃত্বে নেতা-কর্মীদের নিয়ে মির্জা ফখরুল প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
দলের কেন্দ্রীয় নেতা খালেদা রাব্বানী, রাবেয়া সিরাজ, সুলতানা আহমেদ, ফরিদা ইয়াসমীনসহ দেড় শতাধিক নেতা-কর্মী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।