ফ্রেমে ফাগল....
আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবিদের যে বুদ্ধির সংকট আছে এবং ছিল তা বোধহয় অনেক ব্লগারগন এতদিনে বুঝতে পারছেন। স্বাধীনতার ৩৭ বছর পরেও মুক্তিযু্দ্ধ নিয়ে ব্লগযু্দ্ধ হয় তখন পরিস্কার বোঝা যায় আমাদের বুদ্ধিজীবিরা জনসাধারনের অন্ন ধ্বংস করে নিজেদের শুধু বাল ছিড়েছেন। কেউ কেউ সাম্রাজ্যবাদের দালাল হয়েছেন। কেউ বামপন্থী হয়ে, পরবর্তীতে ধর্মীয় মৌলবাদের দালাল হয়েছেন। কেউ বা নিজেকে নবী মনে করে আত্ম-শান্তিতে জীবনপাত করেছেন।
রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে মগজ সের দরে বেচেঁ গুলশান, ধানমন্ডিতে বাড়ী বা ফ্লাট কিনেছেন এবং তার পর নেতাদের পায়ু চেটে ফর্সা করেছেন। বহু বিভ্রান্তির নাটক তারা মঞ্চায়িত করেছেন এদেশের সরল মানুষগুলোর বিশ্বাসীমনকে পূঁজী করে।
আর এখন যারা তরুন বুদ্ধিজীবি আছেন তারা এই মুরুব্বী বুদ্ধিজীবিদের পথ অনুসরণ করে লেখা এবং কথায় বুড়োদের গুষ্টি উদ্ধার করছেন যদিও দর্শন তাদের ওই খোকা ভুলানোই। বেশীরভাগ তরুন বুদ্ধিজীবিরা সি আই এ, র , আই এস আই এবং এম আই ফাইভের সান্ন্যিধ্য পাওয়ার আশায় বুড়ো বুদ্ধিজীবিদের সাথে লেখা-লেখিতে এবং কথাবার্তায় বিতর্ক টেনে আনছেন। তাদের আমিত্ববোধ এবং একে অন্যের চেয়ে বেশি বোঝা ও বলার চেষ্টায় বড় বড় দার্শনিকদের রেফারেন্স এসব কিছুই করছেন তারা এক গোপন ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য।
তারা ইচ্ছা করলে ন্যায়-অন্যায়কে যুক্তি দিয়ে এমনভাবে ব্যখ্যা করেন যে তারাই ভাল মন্দের নিয়ন্তা। কাল যেটার পক্ষে আছেন আজ তাকে দেখা যাবে সে সেটা বিপক্ষে। আমাদের দেশের মানুষ কষ্টকরে জীবন যাপন করে তারা জানে বাস্তবতা কি জিনিষ আর আমাদের বুদ্ধিজীবিরা এসি রুমে ঘুমিয়ে বাস্তবতা নিয়ে যখন যে দর্শন প্রয়োজন তা নিয়ে বাস্তব বিশ্লেষন করে সম্পূর্নভাবে এক ইউটোপিয়ান আইডিয়া হাজির করে দেশ ও জাতির গোয়া মেরে চলেছেন।
এ বিষয়ে ব্লগারদের মতামত দিতে আহবান জানান হলো। ধন্যবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।