চলতি অর্থবছরের বাজেটে মূল এডিপির আকার ধরা হয়েছিলো ৫৫ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৫২ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বেশি মনোযোগের কারণ এডিপি বরাদ্দ বেড়েছে কি না- প্রশ্ন করা হলে তা নাকচ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার।
তিনি বলেন, “এবারই প্রথম স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য বরাদ্দ এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সে কারণেই নতুন এডিপির আকার একটু বেশি মনে হতে পারে।
”
এবারের এডিপিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭৩ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা, এর মধ্যে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বরাদ্দ ৮ হাজার ১১৪ কোটি টাকা।
এই এডিপি বাস্তবায়নে বিদেশ থেকে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে আসবে ২৪ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। স্থানীয় মুদ্রা খরচ ধরা হয়েছে ৪৯ হাজার ৪২১ কোটি টাকা।
স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বরাদ্দসহ নতুন এডিপিতে চলতি এডিপির চেয়ে বরাদ্দ বাড়ছে ৩৪ দশমিক ৫ শতাংশ। আর স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বরাদ্দ ছাড়া আগামী এডিপি’র বরাদ্দ বাড়ছে ১৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কর্মকর্তারা জানান, ২০১৩-১৪ অর্থবছরের এডিপি’র মোট প্রকল্পের সংখ্যা ১ হাজার ১৭৬টি। এর মধ্যে নতুন প্রকল্প ৫০টি। স্বায়ত্তশাসিত প্রকল্পের সংখ্যা ১৩০টি।
৯৭৩টি পুরনো প্রকল্প। অর্থ্যাৎ এই প্রকল্পগুলো চলতি ২০১২-১৩ অর্থবছরের এডিপি থেকে নতুন এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পদ্মা সেতুর জন্য ৬ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। পরিবহন খাতে সবচেয়ে বেশি ১৫ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা মোট এডিপির ২৩ শতাংশ।
বিদ্যুৎ খাতে ৯ হাজার ৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা মোট এডিপির ১৩ শতাংশ।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) এডিপি বাস্তবায়নের হার ৪৯ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ হার ছিলো ৪৫ শতাংশ।
আর ২০১১-১২ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ৯৪ শতাংশ।
অতীতে দেখা গেছে, যে কোনো সরকারের শেষ বছরে এডিপি বাস্তবায়নের হার অন্য যে কোনো বছরের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে।
পাঁচ বছরের চিত্র
গত পাঁচ বছরের এডিপি বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে মূল এডিপির আকার ছিল ২৬ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ২১ হাজার ৬০০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
২০০৭-০৮ অর্থবছরে মূল এডিপির আকার ছিল ২৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
২০০৮-০৯ অর্থবছরে মূল এডিপির আকার ছিল ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ২৩ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
২০০৯-১০ অর্থবছরে ৩০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার এডিপি কাঁটছাট করে নামিয়ে আনা হয় ২৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকায়।
২০১০-১১ অর্থবছরে মূল এডিপি ছিল ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, সংশোধন করে কমিয়ে আনা হয় ৩৫ হাজার ৮৮০ কোটি টাকায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।