চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্টে পাঁচটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তাদের পাওয়া বরাদ্দের কোনো অর্থই ব্যয় করতে পারেনি।
এসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অনুকূলে মোট বার্ষিক বরাদ্দ রয়েছে সাত হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। এই অর্থ খরচ করতে প্রথম তিন প্রান্তিক (নয় মাস) পর্যন্ত কোনো অনুমোদন নিতে হয় না সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে। এর বাইরে থোক বরাদ্দের ৪৫৪ কোটি টাকা থেকে কোনো অর্থ খরচেরও প্রয়োজন পড়েনি।
এমনকি ২০১২-১৩ অর্থবছরের এডিপিতেও জুলাই-আগস্ট মাসে যে পরিমাণ খরচ হয়েছিল, এবার তার চেয়ে কম খরচ হয়েছে।
আলোচ্য সময়ে চার হাজার ৮১ কোটি টাকা খরচ করতে সমর্থ হয়েছে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো; যা মোট এডিপির ৭ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এডিপির ৮ শতাংশ বা চার হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। এডিপির আকার বাড়লেও এবার টাকার অঙ্কে খরচ কমে গেছে।
পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
অর্থ ব্যয়ে ব্যর্থ মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো
বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়; পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ বিভাগ (আইএমইডি); অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বরাদ্দের ১ শতাংশের কম টাকা খরচ করেছে পাঁচটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। এগুলো হলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, সেতু বিভাগ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
আর মাত্র ১ শতাংশ অর্থ ব্যয় করেছে চারটি মন্ত্রণালয়। এগুলো হলো তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও খাদ্য মন্ত্রণালয়।
বেশি বরাদ্দপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর বাস্তবায়ন পরিস্থিতিও বেশ নাজুক।
বরাদ্দপ্রাপ্ত শীর্ষ ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনূকূলেই চলতি এডিপিতে ৫৪ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা রয়েছে; মোট এডিপির ৭৪ শতাংশ। জুলাই-আগস্ট মাসে এসব মন্ত্রণালয় মাত্র তিন হাজার ৪৫১ কোটি টাকা খরচ করেছে; যা বরাদ্দের মাত্র ৬ শতাংশ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।