আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিছিলের মুখ বাড়তেছে

সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com

সবাই এক্সট্রা-অর্ডিনারি হয় না। কেউ কেউ হয়। কিন্তু ইগো এমন এক অসুখ যে, কেউ নিজেকে ছোট ভাবে না, ভাবতে পারে না। কোথায় না কোথাও মানুষ জিতে থাকে, ফলে সে বেঁচেও থাকে।

ইগো মানুষকে ধ্বংস করে, ইগোই আবার তাকে বাঁচায়। পৃথিবীতে যদি ক্ষুধা না থাকতো তারপরও পৃথিবী এরকমই হয়তো যদি শুধু ইগো থাকতো। ব্লগে এই যে শত শত মানুষ আসেন, তাদের নিয়ে ভাবি মাঝে মাঝে। কত জন কতভাবে ব্লগের খোঁজ পান। পড়েন, দেখেন, শেখেন।

কিন্তু যিনি সাইন আপ করেন, তিনি কেন করেন? দু একজন হয়তো মন্তব্য করার জন্য। ভাল লাগা মন্দ লাগা জানাবার জন্য। বাকীরা তো লেখার জন্যই করেন। ব্লগ লিখলেই কেউ লেখক হয়ে হয়তো যান না। কিন্তু লেখার আকাঙ্ক্ষা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।

লেখার মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ এক গুরুত্বপূর্ণ অভিব্যক্তি। তারও চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিজের মতো করে নিজের লেখাটা কোনো এক সঠিক সময়ে লিখে ফেলা। নাই বা কারো চোখে পড়লো, কিন্তু লেখা তো হলো। থেকে গেল। কারো চোখে হয়তো কখনো পড়বে।

অথবা কারো চোখেই পড়বে না, কিন্তু নিজের অভিব্যক্তির একটা আত্মপ্রকাশ ঘটলো, ব্লগে, সবার সামনে। হোক সেটা কবিতায়, গল্পে, কলামে যে কোনো ফর্মে। এখানে যারা আসেন অধিকাংশই তো কিছু না কিছু লিখতেই আসেন। সম্প্রতি একটা ব্যাপার আমাকে বিষণ্ন করে তুললো। এত লোক যদি লিখতেই আসবেন তবে লেখা এত কম কেন? ভাল লেখা মন্দ লেখা তো পরের ব্যাপার।

লেখাই তো নেই। তবে ব্লগে প্রতিদিন পাতা ভরছে কী দিয়ে? সেও লেখা বটে কিন্তু সেটা কারো আত্মপ্রকাশের ঘটনাকে আশ্রয় দেয় না। সেটা ব্লগীয় এক গতিজড়তা। এখানে নানা বিতর্ক চলছে। এর একটা ইতিহাসও তৈরি হয়েছে ছোটখাট।

আলোচনা, তর্ক, খেওয়াখেওয়ি, বিতর্ক, গালিগালাজ সব কিছুরই একটা গতি আছে। একজন নতুন ব্লগার এই গতির চাপটা সামলাতে পারেন না। নিজের অজান্তে বিতর্কে জড়িয়ে যান। নিজের লেখাটা মুহূর্তে হারিয়ে যায়। ব্লগীয় গতি জড়তার আটকে সেঁটে গিয়ে সেটার সঙ্গেই চলতে থাকেন।

অন্যের অভিব্যক্তির শিকার হন। অন্যের মতকে প্রকাশ করেন নিজের ভাষায়। অমুক ভাইয়ের পোস্টে প্লাস, অমুকে পোস্টে মাইনাস, অমুককে একটা কমেন্ট করে ধরাশায়ী করা এইসব চলতে থাকে। একজন সম্ভাব্য লেখক পাবলিকে পরিণত হন, মিছিলের একটা হারিয়ে যাওয়া মুখ হওয়া ছাড়া আর তার কপালে কিছুই হয়তো জোটে না। সামহয়ারে সম্প্রতি এই মিছিলের মুখ বাড়তেছে।

তাই ব্যাপারটা খেয়াল হলো। একটু হতাশ বোধ করলাম। কেউ যদি মিছিলের সেই অস্পষ্ট মুখ হয় তাহলে তো কিছু বলার নেই। সেটাই তার হকিকত। কিন্তু কেউ যদি লেখক হন।

তিনি কেন এইভাবে অন্যের কথা বলবেন? অন্যের অভিব্যক্তিকে প্রকাশ করবেন?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।