babu আমরা অনেকেই ফেয়ারনেস ক্রীমের
ক্ষতি সম্পর্কে জানি। আর ক্ষতির
কারন হলো এতে যেই রাসয়ানিক
দ্রব্য ব্যাবহার করা হয় তা সাস্থ্যের
জন্য মারাত্মক হুমকি। কিন্তু এহেন
ক্ষতি জেনেও
আমরা সেগুলো হরহামেশা ঢালাওভাবে ইউজ
করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে অবশ্য
চটকদার বিজ্ঞাপনগুলো বেশ
সহযোগীতা করে।
বাংলাদেশে বর্তমানে বোটানিক
এরোমা নামক ফেয়ারনেস
ক্রীমটি বেশ সাড়া ফেলেছে।
এটা ২সপ্তাহের মাঝেই
কালোকে সাদা করে দেয়। আমার
আত্মীয়া কয়েকজনকে এই জাদু
ক্রীমের ছোঁয়ায় রীতিমত
বদলে যেতে দেখেছি। পাবলিককে দোষ
দিয়ে কি লাভ। এ ধরনের চমক
দেখলে কি আর ক্ষতি টতির
কথা মনে থাকে। যা
র্যাব -১ বাজার থেকে বোটানিক
এ্যারোমার ও বোটানিক হারবালের
১১টি প্রসাধনী বাংলাদেশ পরমাণু
শক্তি কমিশনের আন্তর্জাতিক
মানসম্পন্ন পরীক্ষাগার পরমাণু
কেন্দ্রে পরীক্ষা করে।
পরীক্ষায় উদ্বেগজনক মাত্রায়
মার্কারি পাওয়া যায়।
র্যাবের সংগৃহীত পণ্যের
মধ্যে জেন্টস স্পট অডিট ক্রিম,
নাইট কুইন ক্রিম, ব্লাক ডায়মন্ড
ক্রিম ও ফেয়ারনেস
ক্রিমে সবচেয়ে মার্কারি থাকার
পরীক্ষা প্রমাণ মেলে।
নামিদামি মডেল তারকারা বিপুল
টাকার লোভে এ বিষাক্ত ত্বক
ফর্সাকারী ক্রিমের চটকদার
বিজ্ঞাপনে অংশ নেয়। মডেল
অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের
দেখে গ্রাম কিংবা শহরের তরুণ-
তরুণীরা এ ক্রিম ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ
হন। ‘
ত্বক ফর্সাকারী’ ক্রিম
প্রস্তুতকারীরা নিজেরাই স্ব্বীকার
করেছেন এসব প্রসাধনে ত্বক
ফর্সা করে এমন উপাদান
নেইএতে ব্যবহার করা হয়
মার্কারি (পারদ), হাইড্রোকুইনসহ
নানা বিষাক্ত উপাদন।
ক্যান্সার
ছাড়াও, কিডনির সমস্যা,
মস্তিষ্কে প্রদাহ ও
প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম দানসহ
নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন
নারীরা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।