আওয়াজ উঠতে হবে, আওয়াজ উঠছে
আমি অনেক জায়গায় বিভ্ন্নি সময় মসজিদে নামায পড়তে যেয়ে দেখেছি মসজিদে টাইলস বসাতে, কিংবা বার্থরুম মোজাইক করতে বিভ্ন্নি লোকের কাছে টাকা চাওয়া হয়, ঈমাম সাহেব মিম্বারে দাড়িয়ে সাধ্যমত আয়াত/হাদিসের দলিল পেশ করেন, এবং সেখানে বসা নামায আদায়কারীদের অনেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা দেন,(বাংলাদেশের মত দরিদ্র দেশে দরিদ্র মানুষের সহায়তা নাকি মসজিদে টাইলস জরুরী আমি বুঝি না, মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে, কিন্তু বার্থরুমে টাইলস বসিয়ে প্রশাব করা হচ্ছে, এটা কোন ধরনের ইসলাম) যেসব দলিলের মধ্যে অধিকাংশই মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার নিমিত্তে টাকা ভিক্ষা করার কথা কোথাও নিদের্শ নেই বলে আমার বিশ্বাস। নামায পড়ার জন্য একটি নিদির্ষ্ট জায়গা এবং ঝড়-বৃর্ষ্টি হতে বাচাঁর জন্য একটি নিরাপদ নামায স্থল হলেই মোটামুটি ইসলামী স্বার্থ হাসিল হয়। কিন্তু মোজাইক-টাইলস বসানো মিম্বারে লক্ষ-লক্ষ অবৈধ টাকার ছড়াছড়িতে কোন ইসলাম সমর্থন দেয়, আমার তা বোধগম্য হয় না।অনুগ্রহ এরকম অপব্যয় আর অবৈধ টাকায় মসজিদ নির্মানের কোন দরকার ইসলামে ছিল কিংবা আছে বলে আমার জানা নাই (কারও জানা থাকলে জানাবেন)। পবিত্র কাবা শরিফও সৌন্দর্য ও জৌলুস সমৃদ্ধ কিন্তু সেথায় কোন লোক না খেয়ে মারা যায়। আর তাদের সরকার এত ধনী যে তারা নিজেরাই নির্মান করে কারও কাছে ভিক্ষা করতে হয়। দান বলতে যা বোঝায় তা গোপনে কারও অজান্তে হয়, কিন্তু সবার সামনে, পরিবারের মৃতুদের দোহাই, ইসলামের দোহাই দিয়ে টাইলসের টাকা, মোজাইকের টাকা চাওয়া আমার কাছে হারাম মনে হয় (কারও কাছে হালাল মনে হলে জানাবেন, উপকৃত হব)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।