আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বসন্তে তোমার পার্ফেক্ট রোমিও চা

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

এক লহমায় দিনগুজরান। আবার রাত শেষ করে বৈভবের রোদ। একটু দোলাচালে ক্ষয়িষ্ণু হচ্ছে দিবালোক, কারণ আর কিছু নয়, দিবস এখন সমান। রাত্রি এখন সমান্তরাল। এর বেশী উচ্ছাস দেখানো সম্ভব নয় একজন মন্ত্রকের।

রক্ষে করুন, চিনি একটু কম, দুধ একেবারেই নয়! : বানাতে হবে যে আবার! বানিয়ে দিয়েছেন যখন খেতে পারছি না, তবে খেয়ে নিতে পারেন নিজেই। যা বলছিলাম, নিদ্রা থেকে উঠে কিছুটা যোগ ব্যায়ামে সময় পার করি। অউপমহাদেশীয় কিছু যোগ ব্যায়াম, যেমন চাইনিজ, শীঘ্রই দেখলাম ইরানিয়ান কিছু আসন! : আচ্ছা আরেক কাপ আপনাকে বানিয়ে দিলাম, এবার একদম আপনার মনের মত! থ্যাংকস কর্তা। চায়ের আসলে অভ্যাস, এর যোগারযন্ত্রে অনীহা, দোকানে খেলেই বরঞ্চ ভাল। : আলসে হয়ে যাচ্ছেন।

কি ভাবছেন এত বলুনতো? ও কিছু নয়। যোগাসন থেকে উঠে ভাবছি কোলেস্টরেল, ফ্যাট, ওজন কতটুকু, ওয়েস্টের কি অবস্থা, এর সাথে লাইফস্টাইল। গুটিগুলো পায়ে পায়ে ঠেলে দিয়েছি সব অন্যের কোটে ক্ষমতাসহ। এখন কি নিজের শক্তিতে ভর করা চলে! একদম অউদ্যমী হয়ে গেছি। কেউ একজন বললে বসন্ত লাগে, হাওয়ায় ভাসে রিমোটের বাটন, চেপে দিতেই বাকী! : ও দাদা, কি হলো? আপনার চা ঠান্ডা হয়ে গেল তো? তাই তো।

আচ্ছা আপনার চা বানাবার কোন রিমোট আছে? : মানে? ধরুন, আপনি একটা বাটন চেপে দেবেন আর অমনি চা হয়ে সামনে চলে আসবে! : কি যে বলছেন! আপনাকে কি আরেক কাপ চা দেব? তাহলে নেই। হাতে অস্ত্র নেই। দিবাসন হলে জীবনাবসান। এখন অস্থিরতায় একটা তান্ডব। কিসের জন্য বাঁচি! : দেব? আরে দিয়ে দিন।

বাঁচি তো তোমার জন্য, উচ্ছ্বসিত চা'এ এবার বিদ্যুত খেলে গেল। পার্ফেক্ট রোমিও চা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।