যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি
কোন বিবেচনায় আসে না যখন শুনলাম শাহ কিবরিয়া বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন। তিনি নিহত হন দুই বছর আগে (২৭ জানুয়ারী ২০০৫) হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে। সরকার পরিচালনা করছিলো জামাত- বিএনপি জোট। তার মৃত্যুর কারন হিসাবে বলা হয় অতিরিক্ত রক্তক্ষরন জনিত কারন। আমরা দেখেছি বিএনপি জামাত জোট কুখ্যাত সন্ত্রাসীর লাশ গ্রামের বাড়ীতে পাঠানোর জন্যে ব্যবহার করেছে হেলিকাপ্টার।
কিন্তু কিবরিয়ার আহত শরীর পড়ে থাকে হবিগঞ্জের সদর হাসপাতালে। কেন?
একজন মেধাবী মানুষ। যারা স্বপ্ন ছিলো দেশের কৃষিভিত্তিক অর্থনৈতিক ভিত স্থাপন - তার কি অপরাধ ছিলো। যিনি জাতিসংঘের চাকুরীতে প্রাপ্ত তার পেনশান দিয়ে বাকী জীবন সুখে কাটাতে পারতেন। তারপর কেন উনি রাজনীতিতে এলেন?
মরহুম কিবরিয়ার সংসদে অর্থমন্ত্রী হিসাবে শেষ বাজেট ভাষনে উনার আদর্শ আর চিন্তার একটা পরিষ্কার ধারনা পাওয়া যায়।
উনি বলেছেন -
("মুক্তিযুদ্ধ একটি আদর্শভিত্তিক সংগ্রাম। ব্যক্তির মৃত্যু হয়, জাতির উত্থান পতন ঘটে, কিন্তু আদর্শ অবিনশ্বর। আদর্শের কোনদিন মৃত্যু হয় না। মুক্তিযুদ্ধ তাই বাংলাদেশের একটি নিরন্তর প্রক্রিয়া - এর কোনদিনই শেষ হবে না। এ চেতনার অনির্বান শিখা চিরদিন আমাদের শোষিত মুক্তির জন্যে উদ্ধুদ্ব করবে।
"
একাত্তরে পাকিস্তানী পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে যোগ দেওয়া একজন মেধাবী মানুষের করুন পরিনতি শুধু দুঃখজনক নয় - ভয়াবহও বটে।
যখন একজন মুক্তিযোদ্ধা কিবরিয়া এম্বুল্যান্সে মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করছিলো - তখন বাংলাদেশের সরকারী সুবিধায় পরাজিত রাজাকার/আলবদরের নেতারা ৩০ লক্ষ শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার পতাকা নিয়ে শহীদের আত্নাকে অপমানিত করছিলো।
পরিবর্তিত পরিস্থিতির বিবেচনায় আশা করছি - দেশের এই মেধাবী সন্তানের হত্যাকারী ও তার পরিকল্পনাকারীদের বিচারের সন্মুখিন করে দেশকে একটা সুস্থ্য রাজনীতির ধারায় ফিরিয়ে আনতে সরকার সক্রিয় হবেন।
আর দেশের মানুষও আগামী নির্বাচনে অন্ধকারে শক্তি মৌলবাদী, যুদ্ধাপরাধী আর তাদের সহযোগীদের উপযুক্ত স্থানে পাঠিয়ে মরহুম শাহ এএমএস কিবরিয়ার বিদেহী আত্নার প্রতি যথাযথ সন্মান জানাবেন।
সূত্রঃ গরিব-হিতৈষী কিবরিয়া - আতিউর রহমান
শাহ আমস কিবরিয়ার জীবনী
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।