বাংলাদেশের এক তরুণ নারী-বিজ্ঞানী কৃত্রিম মানব ফুসফুস বানিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। বাঙালির বিজ্ঞানচর্চার বিজয়রথে বয়ে এনেছেন বড় ধরনের সাফল্য। উল্লেখ্য, ফুসফুসের রোগে প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক মানুষ জীবন হারায়। আমেরিকায় এটি প্রাণঘাতী তৃতীয় সর্বোচ্চ ভয়াবহ রোগ হিসেবে বিবেচিত। ন্যানো প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি মানব ফুসফুস রোগ প্রতিরোধ ও জীবন রক্ষায় অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০১১ সালে আমেরিকার আলামস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির গবেষক ক্রিস ডেটার বাংলাদেশে আসেন বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত এক কাজে। এ সময় বাংলাদেশের জিন-বিজ্ঞানী আয়েশা আরেফিন টুম্পার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এ পরিচয়ের ফলে টুম্পা যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নিউ মেঙ্েিকাতে ন্যানো সায়েন্সের ওপর ডক্টরেট করার সুযোগ পান। আলামস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে গবেষণারও সুযোগ পান তিনি। এই ল্যাবরেটরিতে বায়ো সিকিউরিটি বিভাগে কাজ করার সময় ল্যাবের ভারতীয় গবেষক প্রখ্যাত টেঙ্েিকালজিস্ট রশি আইয়ার তাকে অপ্টোজেনিঙ্ সংক্রান্ত কাজে নিয়োগ করেন। অপ্টোজেনিঙ্ হলো জিনবিদ্যা ও প্রোটিন প্রকৌশলের মাধ্যমে জীবন্ত টিস্যুর মধ্যে ঘটতে থাকা বিভিন্ন স্নায়ুবিক কাজ নিয়ন্ত্রণ করা। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও কৃত্রিম টিস্যু বা কলা তৈরি করা সম্ভব। এখানে টুম্পা এবং রশি আইয়ারের দলের সদস্যরা বিভিন্ন জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট বিষক্রিয়া, রোগ ও কৃত্রিম অঙ্গ সংস্থাপনের জন্য সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সক্ষম হন। কৃত্রিম মানব ফুসফুস তৈরিতেও সক্ষম হন তারা। রোগাক্রান্ত অবস্থায় ফুসফুসের কোষগুলো কীভাবে কাজ করে তা জানা এবং এর প্রতিষেধক উদ্ভাবনে এ আবিষ্কার কাজে লাগবে বলে আশা করা হচ্ছে। টুম্পার এই সাফল্য বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে। বিজ্ঞান গবেষণায় এ দেশের নারীদের উৎসাহিত করবে তার সাফল্য। দেশে এসে বিজ্ঞান সাধনায় অবদান রাখার যে অঙ্গীকার তিনি করেছেন, তা অবশ্যই অভিনন্দনযোগ্য। আয়েশা আরেফিন টুম্পাকে আমাদের অভিনন্দন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।