ধর্ম ও জীবন
ডঃ মোহাম্মদ মাসউদ মিয়া
আরবি বিশ্ব বিদ্যালয় শতর শ্রী নেত্রকোনা ।
আদম আ ও হাওয়া আ মানবের আদি পিতা মাতা
তাদের ধর্ম কলমা কালাম কি ছিল ।
নিঃসন্দেহে ইসলাম ,
আল্লাহ্ সকল কিছু সৃষ্টি করার আগে কোরআন কে লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত রাখেন । গভীর সত্য
কোরআন সৃষ্টির আগেই মাবুদ তার নিজ নুর হইতে মোহাম্মদী
নুর বা নুরে মোহাম্মদ পয়দা করেন ।
মোহাম্মাদ মস্তুফা নুরুন আলা নুর
হাবিবে কিব্রিয়া নুরুল আলা নুর
মোহাম্মাদ মস্তুফা আল্লাহর নুরে পয়দা এবং তার নুরে যাবতীয়
সৃষ্টি সমুদয় পয়দা ।
এখন যিনি আবিস্কারক তিনি প্রথমে ধারনা আঁকবেন আমাকে
এই ভাবে কাজ করতে হবে এবং সটীক লক্ষ্য পৌঁছান তার
সাফল্যর স্বীকৃতি ।
তেমনি আল্লাহ পাকের গুড় রহস্য বিদ্যমান রয়েছে পবিত্র কোরআনে ।
কি ভাবে সৃষ্টি করবেন কিভাবে তাদের চালাবেন ,কিভাল কি মন্দ,
আদেশ উপদেশ তাকে চেনা তার কাছে চাওয়া প্রভৃতির বিস্তারিত
বিবরন কোরআনে পাওয়া যায় ।
আবার আদম থেকে সব নবী রাছুল গনের পূর্ব ইতিহাস তথায়
সন্নিবেশিত । আমার দিব্যজ্ঞান অবলোকন করে দেখলাম
এক জীবনে কোন মানুষের দ্বারা কোরআনকে সম্পুর্ন আয়ত্ত
করা তার জন্য মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই না ।
আমরা কোরআন পড়ব / বুঝতে শিখব যথাযত
তবেই ধর্ম ও মোদের জীবনের খাঁটি দিক নির্দেশনা মিলবে ।
: ইসলাম মানবতার মহান ধর্ম দয়াল নবীজী তার অনুপম দৃষ্টান্ত ।
এক বুড়ী নবীজীর গমন পথে কাঁটা পুঁতে রাখত আর নবীজী একটা একটা করে কাটা তুলে আবার গন্তব্য যেতেন । একদিন
পথিমধ্য খাঁটা দেখতে না পেয়ে তিনি খুজে খুজে বুড়ীর বাড়ি
উপস্থিত হলেন , দেখলেন বুড়ি অসুস্থ হয়ে বিছানায় , তৎক্ষণাৎ
বুড়িকে সেবা দিলেন , বুড়ি অবাক হয়ে নবীজীর প্রতি শ্রদ্ধায়
নত হলেন এবং ইসলাম গ্রহন করলেন ।
মক্কা বিজয়ের পর বিখ্যাত মুনাফিক সরদার আবু সুফিয়ান কে হাতের মু টুয় পেয়েও ক্ষমা করে দিলেন এবং ঘোষণা করলেন যারা
মক্কার কাবায় এবং আবু সুফিয়ানের ঘরে অবস্থান নেবে তারা অধিক নিরাপদ ।
অথচ এই আবু সুফিয়ান ইসলামের প্রাথমিক
প্রচারে প্রধান বাধা ছিল ।
আবু জাহেলের পুত্র ইক্রামা নবীজীর প্রতি দুর্বল ছিল , জানতে
পেরে তাকে বহু নির্যাতন করা হয় । চোখ বেধে পাহাড়ের উপর
থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় । এমনকি পাথরের সাথে বেধে সাগরে
নিক্ষেপ করা হয় তবুও ঈমান থেকে তিনি বিচ্ছুতি হয়নি ।
আল্লাহর রহমতে তার কিছুই হয়নি
ভাবতে অবাক লাগে দাঙ্গায় বহু মুসলমানকে বিভিন্ন দুর্বল দেশে
বিধর্মীরা মধ্যযুগীয় কায়দায় তাদের কে নির্বিচারে হত্তা এবং নির্যাতন চালায় ।
এই কি অন্যান্য ধ্রমাম্বলিদের মানবতার
পরিচয় ।
নবী রাছুল গনের উপর আল্লাহ প্রদত্ত ১০৪ কানা কিতাব
নাযিল হয় । এর মধ্য প্রধান ৪ টি । ইশা আ এর কিতাব ইঞ্জিল শরিফ । আমরা আল্লাহ প্রদত্তসকল কিতাবের ওপর বিশ্বাস
স্থাপন রাখি ।
কিন্তু বিভিন্ন জাতি বিভিন্ন গোত্র যদি প্রকৃত ভাবে
তাদের আদি কিতাব সমূহ সংরক্ষণ করতে না পারে , সে দুষ কাকে দেওয়া যায় । আবার প্রমানিত আলাহ পাক কোন এক
রেওয়াতে উল্লেখ করেন । আমার মনোনীত ধর্মই ইসলাম এবং কোরআন নাজিলের সাথে সাথে অন্যান্য কিতাব সমুহের অস্তিত্ত বিলিন হয়ে যাবে । যারা এই কিতাবকে ধরে রাখবে তারাই সফলকাম ।
বস্তুত কিয়ামত অবধি কোরআনের হেফাজত আমার ।
আর একটি কথা জানা দরকার আদম আ থেকে
অধ্যবধি পর্যন্ত সকল নবী রাছুল ফকির সাধু রাজা বাদশা
কবি বিজ্ঞানি দার্শনিক ও জ্ঞানি গুনি দের জীবন কাহিনি
যুগে যুগে ইতিহাসে ও বই পত্তরে সংরক্ষণ আছে ।
সেথা আমাদের নবীজীর ইতিহাস কেন থাকবেনা । নবি জীবনীই তো হাদিস ।
যখন আল্লাই আল্লাহ আর কিছু নাই তখন তার নিজ নুর হতে
সৃষ্টি করলেন মুহাম্মদ ,
মুহাম্মদ ডাকলেন আল্লাহ । কারন আল্লাহ তার নিজ নাম নিজে
ডাকতে পারেনা ।
এজন্য মুহাম্মদ সা এর সাথে সৃষ্টি জগতে আর কারও তুলনা চলেনা ।
বুঝলে জ্ঞান সামান্যতে হয় পাকা
না বুঝলে মাথায় ঝাঁকা ।
আল্লাহ পাক সব কিতাবে নবীদের নবী রাছুল গনের রাছুল
এবং আওয়াল আখের যাহের বাতেন ও শাফায়াতের কাণ্ডার
হিসাবে উল্লেখ করেছেন । তার বিষয়ে সামান্য সন্দেহ করাও পাপ এবং ঈমানের ক্ষতি ।
হাদিস সংগ্রহ বা মাত্রাসা শিক্ষা ইহুদিরা /মিশনারিরা করবে কেন?
নবীজী ১ম মসজিদে নব্বি তে ইসলামী শিক্ষা চালু করেছিলেন ।
আর কুরাইশ ও বেদিন দের বিরুদ্ধে বদরের যুদ্ধে বহু সংখ্যক
মক্কার কাফের মুস্রেক মদিনায় নবীজীর নিকট বন্ধি হয়েছিলেন । তাদের মধ্য অনেকেই মুসলমান হয়ে যায় আর অনেকেই
মুক্তিপনের মাধ্যমে ছাড়া পায় / যারা মুক্তি পন দিতেসাধ্য নেই
নবীজী একটি ইসলামী মাত্রাসা শিক্ষা চালু করে নবীজীর নির্দেশ অনুযায়ি তারা বিনা বেতনে মদিনার অনেক মূর্খ সাহাবা
ও শিশুদের পড়াতেন । আর এভাবেই তাদের মুক্তি পন আদায়
হত । তখনকার সময়ে মক্কার কুরাইশ আরব গন পৃথিবীর মধ্য
শিক্ষা দিক্ষায় এগিয়ে ছিলেন ।
পরে আরও মাত্রাসা চালু হয় ।
ইসলামের প্রধান ৪ খলিফা
হজরত আবু বকর বা , হজরত উমর ফারুক রা , হজরত উসমান রা হজরত আলী রা তাদের সময়ে ইসলামের ব্যপকতা
উজ্জলতা সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন দেশে প্রদেশে
ইসলামি শিক্ষা ব্যবস্থা মক্তব মাত্রাসা চালু করেন ।
পরে সাহাবা যুগের অবসান আসে তাদের আওলাদ তাবে তাবেয়িন ইমাম গনের যুগ এইসময় বিশিষ্ট জ্ঞানি গুনি গন
হাদিস সংগ্রহের তাগিদ ও মক্তব মাত্রাসায় ছড়ানো তা একত্র
করেন । তাদের মধ্য অন্যতম ছিলেন , ইমাম বুখারি রা ,ইমাম তিরমিজ কারি রা , ইমাম মুসলিম হাস নাত রা , ইমাম আবুনছর নাসায়ি রা আবুল ফজল মেসকাতি রা । আসলে হাদিস নবীজীর বানী কিন্তু গ্রন্সথ বা বই আকারে যারা সংগ্রাহক
তাদের নামে রাখা হয় ।
এভাবেই মাত্রাসা শিক্ষা ও নির্ভুল কোরআন হাদিস সংরক্ষিত হয় ।
যা তিল পরিমাণ সন্দেহ করাও পাপ । আল্লাহু বুঝার রহমত দিন ।
হাদিস ৩ প্রকার কউলি /ফিলি /ও তাক্রিরি
অর্থ নবীজীর পবিত্র জবান মুবারক থেকে যা প্রকাশ তা । তার কর্ম ও
মহান জীবন আদর্শ এবং উপদেশ সমূহ প্রভৃতির বিশাল সংকলন
বা কিতাব গ্রন্থ কে হাদিস নামকরনে ডাকা হয় ।
আল্লাহ পাকের ঘোষণা আর যদি তোমরা সন্দিহান হও , আমার খাছ বান্ধার দুস্তেরবা নবীজীর উপর নাজিল অবধারিত কিতাবে
তবে তোমরা অনুরূপ একটি সুরা রচনা কর ,তোমাদের সঙ্গী যারা খোদা হইতে পৃথক ।
যদি তোমরা সত্য বাদি হও , অনন্তর যদি তোমরা তাহা করিতে না পার এবং তোমরা কখনও তাহা করিতে পারবেনা । তবে তোমরা আত্ত রক্ষা করিও দুযখ হইতে
যাহার খোরাক বা খাদ্য হবে অবিশ্বাসী মানুষ ও কাফের । সুরা বাকারা আয়াত ২২/২৩। ২৪।
আল্লাহই অবিশ্বাসীদের কাফের ডাকিয়াছে ।
যদি মুসলমান হন
তওবা করুন আর যদি বিধর্মী হন তাহলে চাপা বাজি বন্ধ করে
বিভ্রান্তি থেকে দূরে থাকুন । আল্লাহ অবশ্যই বিভ্রান্তি কারিদের পছন্দ করেন না ।
জালিমেরা মানুষ হত্তা করেই ক্লান্ত নয় তারা উপসনালয় ধর্ম গ্রস্থ
কোরআন শরিফ প্রভৃতির উপরেও আঘাত হানে , এহেন পরিস্থিতি ভবিষ্যৎ মুসলিম দুনিয়ার জন্য ভায়াবহ পরিনতি ডেকে আনবে । তাই বিশ্ব বিবেকের নিকট আমার প্রশ্ন এ অন্যায়
আচরন এর বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিরোধ চাই ।
কে এল ঐ
যার আকুল আহবানে দূর হল অন্ধকার
আনিলে জগতে শান্তির বারী
সত্য ন্যায়ে সমাজে দিল জ্বালি
মানরতার সকল অধিকার ।
সব জাতীর বিবেকের মহা আদর্শ
ফুটে তাঁর মহানুভবতায়
দিয়ে গেল রাসট সুসভ্য সমাজের
দিক নির্দেশ সাম্যর বারতায়
এস হে পথিক চিনে লই তারে
যেজন দেখাল মানবের মুক্তির কল্যান
খোদা ভিরু মানবের প্রিয়
তিনি ঈমান ও ইসলামের শাশ্বত আহবান । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।