ভাবে মন অকারণ সারাক্ষণ...যখন বাস্তবতা>আবেগ
গত বছর রোজার ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরে এসেছি দাদাবাড়ি থেকে।
এর কিছুদিন পর শামীম ভাইয়ের সাথে ফোনে কথা হচ্ছে। উনি আমাকে বললেন,ব্লগে জয়েন কর না কেন? আমি তখন শুধু ব্লগ-রিডার।
বললাম- আমি তো আপনাদের মতো লিখতে পারি না। কি কবিতা কি অন্য কিছু-যাই বলেন না কেন!
তারপর কথায় কথায় আমার দাদাবাড়ির উঠোনের কথা উঠল।
আর অমনি শামু ভাই বিপুল উৎসাহে আমাকে বললেন-এই তো,উঠোন নিয়ে একটা কবিতা লিখে ফেল!
আমি বললাম,শুনেন তাইলে,এ কথা শুইনা আমার পয়লা যে লাইন মনে আসছে সেইটা হইল-
উঠানের এক কোণে দেখি একটা কুকুর!
শামু ভাই দমে না গিয়ে বললেন-বাহ্! বেশ তো!এরপরের লাইন মনে কর-
তার দুই পায়ে দেখি তিনটা নূপুর!
উনার এই কথা শুনে আমি তো বিশাল বড়সড় একটা টাসকি খাইলাম। বললাম-কি?? কুকুরের পায়ে নূপুর??অবশ্য কবিরা সবই পারে!!
নিজেরে সামলায়ে নিয়ে বললাম-তারপর?তারপরের লাইন কি হবে?
উনি কইলেন-সবটা তো আমি বলব না। পরের লাইন তোমার হোমওয়ার্ক থাকলো। এইখানে এক,দুই,তিন-এই সংখ্যাগুলান আছে। তোমার কাজ হইবো চার আর পাঁচ নিয়া. . . .
আমি বললাম-তথাস্তু!
পরদিন সকালে বিশাল ভাব নিয়ে মেসেজ পাঠাইলাম-আমার হোমওয়ার্ক শেষ।
মেসেজে পাঠাবো?তবে শর্ত হলো আপনে হাসতেও পারবেন না,কাঁদতেও পারবেন না।
শামু ভাই রিপ্লাই দিলেন-ও কে! তোমার শর্তে রাজি!আমি হাসবোও না কাঁদবোও না,গম্ভীর হয়ে থাকবো।
তখন আমি পাঠালাম কবিতা-
প্রথম দুই লাইন তো ছিল-
উঠানের এক কোণে দেখি একটা কুকুর!
তার দুই পায়ে দেখি তিনটা নূপুর!
(আমার হোমওয়ার্ক)-
অবাক তাকিয়ে গুনি পায়ের আঙুল,
এক,দুই,তিন,চার. . . . .
এক,দুই,তিন,চার. . . .
সে কি!! আগে তো জানতাম
পায়ের আঙুল পাঁচটা,
এখন তো দেখি চারটা!!!!
তারপর লিখলাম,(কি বলছিলাম?এইবার বুঝলেন তো,বান্দরকে কবিতা হয়না!!)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।