তি তি - আসসালামু আলাইকুম
: ওয়ালাকুমসালাম . . . . . .।
- কেমন আছেন?
: এই তো ভালো আছি।
- আপনি কী?
: আমি মুসলমান।
- মানুষ না?
: মানুষ তো অবশ্যই।
- জামায়াত-শিবিরের সব কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানেন তো?
: হ্যাঁ, জানি।
- আপনি কি মনে করেন জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা ঠিক?
: না, আমি মনে করি না।
- কেন?
: কারণ জামায়াত-শিবির একমাত্র ইসলামভিত্তিক রাজনীতি করে। ইসলামের নিয়মানুযায়ী রাজনীতি করতে চায়। আমি মুসলমান, তাই আমি জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি পছন্দ করি এবং এটিও চাই যে, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি থাকুক।
- আপনি আসলেই মুসলমান?
: হ্যাঁ।
কেন, কোনো সন্দেহ আছে?
- অবশ্যই আছে।
: কী রকম সন্দেহ?
- ইসলাম ধর্ম কোথায় বলেছে যে, সালামের উত্তর বিকৃত করতে, কোথায় বলেছে যে, আল্লাহর রহমতে ভালো আছি ছাড়া ভালো আছি বলতে; ইসলাম ধর্ম কোথায় বলেছে, ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি করতে?
: ওত কিছু আপনাকে বলবো না। বিরক্ত করেন না তো।
- আপনি তো ধর্মান্ধ।
: ঐ, তোরে পিটাবো কিন্তু।
ভালোই ভালোই চলে যা।
- এই তো আসল কথায় ফিরে আসছেন। ইসলাম ধর্ম কোথাও যেমন সালামের উত্তর বিকৃত করতে বলে নি, কোথাও শুধু ভালো আছি বলতে বলে নি, ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি হালাল করেছে, এটি কোথাও বলে নি; ঠিক তেমন কোথাও বলি নি, একজনকে বিনা কারণে পিটাতে।
আপনারা মুসলমান নামের অভিশাপ। নিজেরা তো ধর্মের নিয়ম-কানুন মানবেন না, আবার আপনাদেরকে সঠিক কথা বললে মানুষকে পিটাতে চান।
এগুলো মনে হয় আপনারা ধর্মের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। আপনারাই ধর্মান্ধ, আপনারাই ধর্মব্যবসায়ী।
যে দলের শুরুতেই ইসলামবিরোধী, সে দল কীভাবে ইসলামভিত্তিক দল হয়, কীভাবে ইসলামের নিয়মানুযায়ী দেশ শাসন করতে চায়! এই একটিমাত্র দল যে দলের সমার্থক শব্দ যুদ্ধাপরাধী দল। যে দলের দলীয় প্রধানসহ নেতারা যুদ্ধাপরাধী; এই সেই দল যে দল ১৯৭১ এ পাকিস্তানের সরাসরি সমর্থন করেছে।
জামায়াত ধর্মকে পুঁজি করে নিজেদের এবং দলের স্বাঃর্থ পূরণ করে।
বাঙলাদেশবিরোধী কোনো দলের আশ্রয় এ দেশে নয়, পাকিস্তানে আশ্রয়। আর এই দেশ ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। এখানে সব ধর্মের মানুষ বাস করে। নির্দিষ্ট কোনো ধর্মের আইনানুযায়ী এ দেশ পরিচালনা হবে না বলেই পাকিস্তানের কাছ থেকে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে, লক্ষ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙালিরা বাঙলাদেশকে ছিনিয়ে এনেছে। এই দেশে শুধু ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের না, এ দেশ সব ধর্মের, সব শ্রেণীর মানুষের।
জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি আবার বন্ধ হতো যদি আবার কোনো মহান নেতার 'জয় বাঙলা' ডাক শুনে বাঙালিরা দেশের শত্রু মোকাবেলা করতো। জামায়াত-শিবির এতদিন ধরে রাজনীতিতে আছে শুধুমাত্র আমাদের দুর্বলতার কারণে। আমরা নিজেদের স্বাঃর্থের জন্য দেশকে মুখে ভালোবাসি, মনে-প্রাণে ভালোবাসি না। এ দেশের কোনো মানুষ বুকে হাত দিয়ে বলে না, 'আমি গর্বিত আমি বাঙালি'। ঐক্যবদ্ধতার অভাবে অযোগ্য শাসকদের কারণে দেশ ধ্বংসের মুখোমুখি হচ্ছে।
রাজাকারের যেমন বাঙলাদেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে, ঠিক তেমন জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে, জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী, জামায়াত-শিবিরের সমর্থক, রাজাকারপ্রিয় মানুষদেরও এ দেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে। এ দেশ কোনো রাজাকার, দেশবিরোধীদের নয়। এ দেশ সারা বাঙালির। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।