চিন্তার নিরংকুশ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি না। চিন্তার দায়বদ্ধতা মানুষ,সমাজ,সভ্যতার কাছে।
ধানমন্ডি থেকে মতিঝিল যাচ্ছি মিডওয়ে বাসে খুব কাছাকাছি সিটে বসা অফিস গামী ভদ্রলোক দুই টাকা দামের কোন এক কাগজ কিনে কাগজের সিরোনামে যুদ্ধোপোরাধের বিচারের দাবি পক্ষে সশব্দে তার মতামত জানালেন তার প্রতিক্রিয়ায় আর সব যাত্রীরা নিরব সমর্থন জানালেও কেউ কোন মন্তব্য করেনি এমন সময় আপাদমস্তক শিবির লুক (শিবিরের খোচাদাড়ি,তাখনুর উপর প্যান্ট আর সকল বৈশিষ্ট্য সহ )এক রাজাকারের বাচ্চা হটাত্ত বলে বসলো ৩৬ বছর পড়ে বিচার চেয়ে লাভ কি ?
ব্যস্
তার পরে গোটা বাস একসাথে যে প্রতিক্রিয়া দেখাল তা এক কথায় অভূতপূর্ব ,রাজনৈতিক কোন বিষয় যদি এমন আলোচনা ওঠে তবে তার একটা পক্ষ বিপক্ষ দাড়িয়ে যায় ।কিন্ত এবিষয়ে একসাথে বাসের সবাইকে যেভাবে সরব হতে দেখলাম তা কিনা রীতিমতো বিস্ফোরণ ।
বিষয়টা ক্রমেই এমন একটা পর্যায় চলে গেল যে কারও কথা কেউ শুনচ্ছে না সবাই বিষয়টা নিয়ে তার ক্ষোভ ঝাড়চ্ছে ।
তার তিব্রতা এমন পর্যায়ের যে তা মোটেই সুশীল ভাষায় নয় ।
আরো একধাপ এগিয়ে এক দাড়িওয়ালা মুরুব্বি দাড়িয়ে গেলেন এক পর্যায় আক্রমনাত্বক ভাবে রাজাকারের বাচ্চা দিকে এগিয়েও গেলেন মজার বিষয় কেউ তাকে থামালো না ।
অবস্থা বেগতিক দেখে বাসের ড্রাইভির মাঝ রাস্তায় বাস দাঁড় করিয়ে রাজাকারের বাচ্চারে তরাতারি নামিয়ে দিল তার সেই পালানোর দৃশ্য দেখ তখন ক্যাম্পাসের মিছিলে স্লোগানের মতো চিত্কার করে বলতে ইচ্ছা করছিল ।
"বাংলার মাটি,
দূর্জয় ঘাটি'
"রাজাকার আস্তানা ,
এই বাংলায় হবে না "
"জামাত শিবির রাজাকার ,
এই মূহুতে বাংলা ছাড়"
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।