আওয়াজ উঠতে হবে, আওয়াজ উঠছে
১.
বৃষ্টি বাচ্চা নিয়েই বিরক্ত, তারপর গ্রীস্মের অসহ্য তাপ
তার উপর আবার পাশের সীটে বসেছে এ কোন অভিশাপ
মেয়ে দেখছে কোলে তারপরও নয়নে ভালবাসার আবেদন
ছেলেগুলোর জীবনে প্রেম ছাড়া কি নেই কোন নিবেদন।
বা”্চার যন্ত্রনায় ওড়না দিশেহারা, আরও বেশি লজ্জাকর
শকুনের চোখগুলোর অনল বাড়া। ও বাবা, দুরে দাড়ানো ঐ বুড়ো
যারা চামড়ার ভাঁজ গুড়ো গুড়ো, তার নয়নে এ কিসের আলামত।
মাগো, এঁটাই তবে কি কেয়ামত। মেয়ের বয়সি মোরে,গিলছে এ
কোন নয়ন-ভুক্ষ ডোরে।
মহানগরের প্রতিটি যুবক, বুড়ো এমনি স্কুলের পিচ্চিরা পযর্ন্ত এখন প্রেম-কামনার দৃষ্টি ছাড়া কিছু বোঝে না। বৃর্ষ্টির মত অজস্র যুবতি মা, যারা নিজের সংসার, ধর্ম নিয়ে সুখী তারাও অনল শিখা থেকে রেহাই পায় না। তারা কাউকে পছন্দ করুক না করুক, কারও দিকে তাকাক আর না তাকাক কিন্তু জগত যেন তাদের মাঝে কি যেন খোজে। এ খোজ যেন বাহ্যিক আবরন ভেদে জামা-কাপড় ছিদ্র করে আরও কিছু খুজতে চায়।
২.
খাবার, ব্যাগ গোছানোর হেচড়া-হেচড়ি
রিক্সার সন্ধানে নয়ন দিশেহারা।
রড ধরা হাত, বাহিরের জ্বলন্ত মনগুলোর মাঝে সূর্যের উত্তাপ
লোমকুপের গেটে ঘামের শেকল ভাঙ্গার অবিরত তাড়া
মহানগরের সকাল অপূর্ন বাবুসাহেব-সাহেবানদের এ ঘামাঘামি ছাড়া। তারপর
রিক্সা নয়তো বাসে যদি একটু বেশি দাবী হয় ভাড়া। তবে
মেজাজের বোরাক ছোটে কালবৈশাখীর ন্যায় বাঁধন হারা। অত:পর
হয়তো অর্ধ ঘামে ভেজা জামা, দুঘাই খাওয়া নয়তো
চার চড় দেয়া স্মৃতি করে বগলদাবা, অফিসের বসে একটু যাতন মারা। এই তো
মহানগরের সকাল অপূর্ন এসব পূর্ণ প্রচারের মাত্রায় কমায় অথবা বাড়া।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।