যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই । কাদঁতে আসিনি ফাসিঁ দাবী নিয়ে এসেছি ।
তুই রাজাকার । কোথাকার কোন তোতা পাখি , কোন নাটকে বলা শুরু করলো আর সাথে সারাদেশের ১২ কোটি (সেই সময়ের সম্ভাব্য জনসংখ্যা) মানুষের ২৪ কোটি ঠোট একসাথে বলে উঠল তুই রাজাকর । যা শ্যালা !! যাই কই ।
ভাবতে ভাবতে সব জায়গার চুল প্রায় পড়তে পড়তে নাই হয়ে গেল নব মোল্লা আবু সামীহা এর । মনে মনে ভাবতে থাকে আবু সামীহা ,এই মাস্টরের নানা নাকি আবার আমগো পিচ কমিটির পেসিডেন্ট ছিল । তার নাতি এইটা কোন কাম করল ??
না এই আহাজারি আবু সামীহার একার নয় । এমন আহাজারি জামাত আর শিবিরের কর্মী নেতাদের ।
ঘরে বাহিরে সব জায়গায় এক কথা তুই রাজাকার ! তুই রাজাকার !! বাচ্চা জামাতীরা মানে আবু সীমাহারা নতুন ফন্দি আটল , বলা শুরু করল ভাই আমার জন্ম তো ১৯৭১ এর পরে ।
আমি তো মুক্তিযুদ্ধের সময় আছিলাম না , আমারে রাজাকার কন ক্যান ??
পাবলিক হাসে , মসকরা করে, হেহেকরে হাসে আর কয় তাইলে তুই রাজাকারের বাচ্চা । নানা তুই বাচ্চা রাজাকার ।
পাবলিক খুব খাচ্চড় । ধর্মের বর্ম সবাইরে পড়ানো যায়না । ধর্ম নাম শুইনা আল্লাহ রাসুলের নাম বেইচা কোন মতে পাবলিকরে ভুলাইয়া ভালাইয়া ফুসলাইয়া ফাসলাইয়া লাইনে আইনা মওদুদীর একখান বই ধরাইয়া দিলেই ছ্যাত করে ওঠে ।
কয় হালায় রাজাকার ।
কি করি কন তো ??
চিন্তিত মনে দীর্ঘদিন চইলা যায় আবু সামীহা পথ খুইজা পায় । কিন্তু একগভীর রাতে স্বপ্নদোষ হতে হতে আবু সামীহা জাইগ্যা ওঠে আর লগে লগে লাইয়া ওঠে পরিবাগের কোনার মেছ থাইকা মগবাজার মুখে কেইচা দৌড় । দৌড় দৌড় দৌড় । এমন দৌড় অনেকদিন দৌড়ায়নি আবু সামীহা ।
একবার জান হাতে লইয়া দৌড় দিছিল কার্জন হল থাইক্যা পরিবাগ এর শিবিরের মেছ এ । গত রমজানের আগের কাহিনী । সোহরাওয়ার্দী পার্কে গামছা দিয়া দাড়ি ঠাইকা মাগি লাইয়া কার্জন হলে মাহে রমজানের নামে শিবিরের পোস্টার লাগাইতে গিয়া সাধারণ ছাত্র গো হাতে প্রায় ধরা খাইতে গিয়া দৌড় ।
আবু সামীহা শুনছে হের আব্বাজানও নাকি ১৯৭১ পড় এমন নেংটি খিইচ্যা দৌড় দিছিল , মুক্তি বাহিনীর হাত থাইকা বাচানোর লাইগা । সে সব ম্যালা আগের কাহিনী মনে না করাই ভালো , যদি কোন ভাবে ১৯৭১ টা কন্ট্রোল অল্টার ডিলিট মারা যাইত !!! আবু সামীহা ভাবে ।
তাইলে এক্কেবারে পাকিস্থান থুড়ি আফগান । এই খচ্চড় পাবলিক খুব খারাপ । খেলায় পাকিস্থান সাপোর্ট করব আবার হের পড়েই পাকিস্তানি গো রাজাকার কইয়া গালি দিব । আবু সামীহা বুইজ্যা উঠবার পারে না পাবলিকের কাহিনী ।
আবু সামীহা দৌড়াতে দৌড়াতে বড় মগবাজার মসজিদের কাছে পৌছায়া যায় ।
বড় আব্বার বাড়ির কাছে । তখন ফজরের ওয়াক্ত । নিশ্চিয়ই হের বড় আব্বা মানে গোআ থুরি গোলাম আজম নামাজে যাইব । তখন নতুন ধান্দাটা কইব নাই । কি নাই ? ১৯৭১ নাই ।
তখন যুদ্ধ মুদ্ধ হয়নাই , যুদ্ধাপরাধী ও নাই ।
কিন্তু ফজরের ওয়াক্ত শ্যাষ হইয়া সূর্য ওঠে আব্বা হুজুর তো নামাজে আসেনা । আবু সামীহা মনে মনে হাসে আমর নেতা তো আমার মতই হইব । নামাজ কালাম নিজে পইড়া কি হইব শুধু পাবলিক প্লেসে লোক দেখাইতে পড়তে হয় । কিন্তু আব্বা হুজ্জুরকে কথা বলতে হবে না ।
এছাড়া আর জামাতীদের কি উপায়?? বলেন !!
................................................................
(চলবে, যদি আপনারা চালায়া নেন । )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।